Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৩ শুক্রবার, জুন ২০২৫ | ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

গ্রামের এই বাড়ি থেকেই গ্রেফতার হন সম্রাট

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:৩৮ PM
আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:৩৮ PM

bdmorning Image Preview


সীমান্তবর্তী জামায়াত অধ্যুষিত কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। শনিবার গভীর রাতে কঠোর গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। কিন্তু তাদের আত্মগোপন নিয়ে কিছুই জানতো না প্রতিবেশীরা।

এলাকার এবং ওই বাড়ির লোকজন জানতো ঢাকা থেকে তারা মেহমান হিসেবে বেড়াতে এসেছেন। সীমান্ত থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারণা সম্রাট হয়তো ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েই ওই গ্রামে আত্মগোপন করেছিলেন।

আলকরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম গোলাম ফারুক বলেন, যে বাড়ি থেকে সম্রাট র‌্যাবের হাতে ধরে পড়েছেন ওই বাড়িটি স্টার লাইন পরিবহনের মালিক হাজি আলাউদ্দিনের ভগ্নিপতি ও স্টার লাইন পরিবহনের পরিচালক মনির চৌধুরীর।

তিনি আরও বলেন, শনিবার রাত ৯টার দিকে প্রথমে র‌্যাবের ৭-৮টি গাড়ি ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও ১০-১২টি গাড়ি মনির চৌধুরীর বাড়ির পাশে অবস্থান নেয়। ভোর ৫টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা সম্রাট ও তার এক সহযোগীকে নিয়ে ঢাকায় চলে যায়।

বাড়ির মালিক পরিবহন ব্যবসায়ী মনির চৌধুরীর বোন নাজু বেগম বলেন, র‌্যাব যাদের ধরে নিয়ে যায় তারা তিনদিন আগে এই বাড়িতে এসে দোতলার একটি কক্ষে অবস্থান নেয়। সেখানেই তাদের খাবার দেয়া হতো। কখনো বাসার বাইরে বের হতো না। আমাদের জানানো হয় তারা বেড়াতে এসেছেন।

তিনি আরও বলেন, তিন মাস আগে আমার ভাই এই বাড়িটি নির্মাণ করেন। অভিযানের সময় আমার ভাই মনির চৌধুরী বাসায় ছিল। পরে সম্রাট ও তার সহযোগীকে আটক করে নিয়ে যায় র‌্যাব। তবে মনির চৌধুরী জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

প্রতিবেশীরা জানান, মনির চৌধুরী জামায়াতের নেতা। এলাকায় তিনি ছক্কা নামে পরিচিত। মাঝে মধ্যে গাড়িতে বিভিন্ন লোকজনকে বাড়ি নিয়ে আসতেন। সর্বশেষ সহযোগীসহ সম্রাট ওই বাড়িতে এলেও স্থানীয়রা জানতেন বাড়িতে মেহমান এসেছেন।

চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, অভিযানের বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য ছিল না। পরিবহন ব্যবসায়ী মনির চৌধুরীকে আমি চিনি না।

Bootstrap Image Preview