ইরাকে সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। বেকারত্ব নিরসন, জনসেবার মানোন্নয়ন আর সীমাহীন দুর্নীতি রোধের দাবিতে তিন দিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছে দেশটির জনগণ।
আনাদলু জানায়, এ সপ্তাহের শুরুর দিকে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল-মাহদির বিরুদ্ধে জনঅসন্তোষ শুরু হয়।
বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালালে দুই পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটে।
ইরাক হাই কমিশন ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ জনে এবং আহত ১১৭৭। নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও রয়েছে।
এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২১৬ জন বিক্ষোভকারীকে, যাদের মধ্যে ১৫৪ জনকে পরবর্তীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গত এক বছরের বেশি সময়ের মধ্যে বাগদাদে সংঘটিত সবচেয়ে বড় জনবিদ্রোহ এটি। প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল-মাহদি পরিস্থিতি শান্ত করতে বিক্ষোভকারীদের কোনো দাবি মেনে নেওয়ার কোনো ইঙ্গিত দেননি।
ডয়চে ভেলে বাংলা জানায়, দেশজুড়ে এই অস্থিরতার মাঝেই অজ্ঞাত পরিচয়ের মুখোশধারীদের গুলিতে অ্যাকটিভিস্ট এবং কার্টুনিস্ট হোসেইন আদেল মাদানি এবং তার স্ত্রী সারা মাদানি নিহত হয়েছেন বলে নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে। তবে তাদের দুই বছর বয়সী কন্যা সন্তান অক্ষত রয়েছে৷ কোনো পক্ষ এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি।
ইরাক সরকার বিক্ষোভকারীদের দাবি না মেনে তাদের দমনে কড়া অবস্থান নিয়েছে। দেশটির রাজধানীর রাস্তায় ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ দাঙ্গা পুলিশ দেখা গেছে।
বাগদাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় চত্বরমুখী সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি কর্তৃপক্ষ ফেসবুক, টুইটার এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগ অ্যাপও বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন শহরটির বাসিন্দারা।
পাশাপাশি, নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে যে, বাগদাদ এবং দক্ষিণ ইরাকের বেশ কয়েকটি শহরে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করা হয়েছে।