কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমার থেকে আসা ৫৮৪ টন পেঁয়াজ পৌঁছেছে। শ্রমিকের অভাবে খালাসের অপেক্ষায় নাফনদে ভাসছে আরও প্রায় ৮৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। এ তথ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেল ৫ টায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল। এ সময় আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ সহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব তৌফিকুর রহমান বলেন, দেশের চাহিদা ও পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে এখানে আসা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের মূল্য নিয়ে কারসাজি করলে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৈঠকে টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন বলেন, টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে ৫৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজভর্তি ৩৭টি ট্রাক দেশের বিভিন্ন এলাকা রওনা দিয়েছে। এছাড়া মিয়ানমার থেকে আসা ৮৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাসের অপক্ষোয় রয়েছে।
বৈঠকে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল) মাসুদুর রহমান মোল্লা, টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল হাসান, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা, স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দিন, সহকারী ব্যবস্থাপক এজিএম জসিম উদ্দিন, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসেম, যদুচন্দ্র দাস, এম আফছার সোহেল উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, বাজারদাম সহনশীল করতে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি নির্বিঘ্ন করা হবে। পাশাপাশি স্থানীয়দেরও সুলভমূল্যে পেঁয়াজ সরবারহ করতে হবে। ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন কক্সবাজারে ৬৫-৭০ টাকায় পেঁয়াজের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
এছাড়া বৈঠকে মিয়ানমারের আমদানিকৃত পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে ৫০ টাকার ঊর্ধ্বে বিক্রি না করারও পরার্মশ দেওয়া হয়।