Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ শনিবার, জুন ২০২৫ | ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ট্রাংকে মিলল ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা, ইয়াবাসহ আটক ৩

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ অক্টোবর ২০১৯, ১১:৩৭ AM
আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯, ১১:৩৭ AM

bdmorning Image Preview


নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নগদ এক কোটি পঁচিশ লাখ টাকা ও দুই হাজার পিস ইয়াবাসহ জামাল হোসেন মৃধা নামের এক ব্যবসায়ী ও তার দুই সহযোগিকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

বুধবার (২ অক্টোবর) ভোর রাতে উপজেলার তারাবো পৌরসভার রসুলপুর এলাকায় ঐ ব্যবসায়ীর নিজ বাড়ি থেকে তিনজনকে করা হয়। গ্রেফতারকৃত অপর দুইজন হলেন, জামাল হোসেনের দুই সহযোগি মোস্তফা ও মানিক।

জেলা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো: মিজান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে স্থানীয় কয়েল ব্যবসায়ী জামাল হোসেন মৃধার বাড়িতে এক লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি চালান প্রবেশ করবে। এরপর গোয়েন্দা পুলিশ মঙ্গলবার বিকেল থেকে ওই এলাকায় নজরদারি শুরু করে।

মধ্য রাত থেকে জামাল হোসেন মৃধার চার তলা বাড়ির তৃতীয় তলার ফ্লাটে তল্লাশি চালায়। এসময় একটি ট্রাংক থেকে নগদ এক কোটি টাকা এবং আমলমারির ভেতর থেকে আরো পঁচিশ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। একই সাথে বাড়িটির নিচ তলায় জামাল হোসেনের ব্যক্তিগত অফিস থেকে দুই হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ ভোর রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পরে পুলিশ সুপার গণমাধ্যমকে জানান, গ্রেফতারকৃত ব্যবসায়ী জামাল হোসেন মৃধা নিজেকে তিনটি কয়েল কারখানার মলিক দাবি করলেও এর কোন বৈধ লাইসেন্স দেখাতে পানেনি। জব্দকৃত টাকার বৈধ কোন উৎসও দেখাতে পারেননি তিনি। এই টাকাগুলো হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করার জন্য রাখা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া কয়েল ব্যবসার আড়ালে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে বলেও সন্দেহ রয়েছে। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

পুলিশ সুপার আরো জানান, আটকৃতদের বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনে, ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগে মাদকদব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এবং আবাসিক এলাকায় কয়েল কারখানা নির্মাণ করে পরিবেশ দূষণের অপরাধে পরিবেশ আইনে মোট তিনটি মামলা দায়ের করা হবে। পাশাপাশি জামাল হোসেন বাড়িতে এতো টাকা কি কারনে রেখেছেন, ইয়াবা ব্যবসা করে কতো টাকার মালিক হয়েছেন এবং তিনি কোন জঙ্গী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছেন কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

Bootstrap Image Preview