Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ শনিবার, জুন ২০২৫ | ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

জি কে শামীমের রিমান্ড শুনানি আজ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:৫১ AM
আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:৫১ AM

bdmorning Image Preview


রাজধানীর নিকেতনের কার্যলয় থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা সহ আটক হওয়া যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের অর্থ পাচার আইনের মামলায় রিমান্ড শুনানি হবে আজ।

এর আগে (১ অক্টোবর) মঙ্গলবার এ মামলায় জি কে শামীমের সাত বডিগার্ডের ফের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী আসামিদের রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- জি কে শামীমের বডিগার্ড মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মুরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম। এর আগে অস্ত্র মামলায় তাদের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনের মামলা ছাড়াও অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলা রয়েছে। র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযানে জি কে শামীমের অফিসের লোহার সিন্দুক থেকে নগদ অর্থ, চেক বই, এফডিআর ও বিদেশি মুদ্রা পাওয়া গেছে। সেখানে বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ও ৯ হাজার ইউএস ডলার পাওয়া যায়।

এছাড়া আসামির মায়ের নামীয় ১০টি এফডিআরে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকাসহ মোট ৩৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও চেক বইয়ের পাতা জব্দ করা হয়। র‌্যাবের কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অর্থ পাচার আইনের এ মামলাটি করেন। ঘটনার প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রকাশ পায়, এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম (জি কে শামীম) একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়ার ব্যবসায়ী (ক্যাসিনো) হিসেবে পরিচিত। তার সাত বডিগার্ড দীর্ঘদিন ধরে তাদের নিজেদের লাইসেন্স করা অস্ত্র প্রকাশ্য বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করেন।

রিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়, তারা টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল, গরুর হাটবাজারে চাঁদাবাজি করে। এর মাধ্যমে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হওয়ার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হলেও ব্যাপক তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন।

২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিজ কার্যালয়ে সাত বডিগার্ডসহ গ্রেফতার হন জি কে শামীম। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থ পাচার আইনে তিনটি মামলা করা হয়। ২১ সেপ্টেম্বর শামীমের অস্ত্র ও মাদক মামলায় পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

একই সঙ্গে সাত বডিগার্ডের অস্ত্র আইনের মামলায় চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়। এদিকে ২৭ সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় রিমান্ড শেষে জি কে শামীমকে মাদক আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।

Bootstrap Image Preview