বাংলাদেশে অনলাইনে ক্যাসিনো ও জুয়া পরিচালনার গডফাদার সেলিম প্রধানকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই দণ্ড পেয়েছেন আরও তিনজন।
সেলিম বাদে অন্য দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সেলিমের সহযোগী রুমন, মামুন ও আক্তারুজ্জামান। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ভ্রাম্যমাণ আদালত এ দণ্ড দেন।
এ দিন র্যাব-১ সেলিম প্রধানের বনানী ও গুলশানের বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় হরিণের চামড়া, নগদ ২৮ লাখ টাকা, ৮ কোটি টাকার চেকসহ বিপুল পরিমাণ বিদেশি অর্থ ও অনলাইন ক্যাসিনোর সরঞ্জাম উদ্ধার করে র্যাব।
র্যাবের সুজয় কুমার সরকার জানান, র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম এ অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন। অভিযানে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩২২ নম্বর ফ্লাইটটি দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি ইউনিট ফ্লাইটে হাজির হলে সেটি বেলা ৩টায় ঢাকা ছেড়ে যায়। সেখান থেকেই সেলিম প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়। সারা দেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের কারণে ভয়ে তিনি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তবে র্যাবের গোয়েন্দা ইউনিটের সদস্যরা তার ওপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছিলেন। এ কারণে শেষ পর্যন্ত তিনি পালাতে পারেননি।
সেলিমের কোম্পানির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, পি২৪ গেমিং শুরুতে বিনোদনমূলক সফটওয়্যার তৈরি ও প্রকাশ করত। এখন তারা এশিয়ায় দ্রুত বড় হতে থাকা ক্যাসিনো কারবারে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। এশিয়ার লাইভ ক্যাসিনো মার্কেটে প্রতিষ্ঠানটি যেন এক নম্বরে যেতে পারে, সেই চেষ্টা আছে তাদের। ২০১৬ সালে তারা শুধু কম্পিউটার গেমস বাজারে আনত। পরে অনলাইন জুয়া ও ক্যাসিনো কারবারে জড়িয়ে পড়ে। পি২৪-এর সঙ্গে বাংলাদেশে ১৫০টি অপারেটর এবং ক্যাসিনো যুক্ত আছে। অনলাইনে বিশ্বের সবচেয়ে প্রচলিত ক্যাসিনোর সঙ্গে যুক্ত করে দেয়ার ক্ষমতা আছে তাদের। জুয়াড়িদের মুঠোফোনে লাইভ ক্যাসিনোতে যুক্ত করে দেয়ার সুবিধা তারা এনেছে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর।