ভারী বৃষ্টিপাতে রাজধানীর অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ঘর থেকে বের হওয়া নগরবাসী। জলমগ্ন সড়কে ব্যাহত হয় যান চলাচল, যাতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাতে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেট, মতিঝিল, জিরো পয়েন্ট, পল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, কারওয়ান বাজার, কলামপুর, রামপুরা, বনানী-১১, মিরপুর-১০, শেওড়াপাড়া, মিরপুর-১৩ ও কাজীপাড়া এলাকাসহ অনেক জায়গার রাস্তা গোড়ালি সমান পানির নিচে চলে গেছে। মানুষজনকে নোংরা পানি ডিঙিয়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
বৃষ্টির পানিতে বিভিন্ন সড়ক ডুবে যাওয়ায় থেমে থেমে চলছে বিভিন্ন যানবাহন। এতে করে নগরীর জিরো পয়েন্ট, পল্টন, বিজয়নগর এবং অন্যদিকে হাইকোর্ট এলাকা হয়ে শাহবাগের দিকে যানজট তৈরি হয়েছে।
বৃষ্টির পর শাহবাগ এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়, যা ছড়িয়ে পড়ে কারওয়ান বাজার হয়ে ফার্মগেটের রাস্তায়।
বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে পুরো সচিবালয় এলাকা, কোথাও কোথাও হাঁটু পানি জমে গেছে। এতে সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটের ভেতরও পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।
এদিকে, রাস্তায় পানি জমে থাকায় দীর্ঘ যানজটে আটকে পড়া যাত্রীরা বাস ও গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেও গন্তব্যে যেতে পারছিলেন না।
অন্যদিকে পানিতে রাস্তা ডুবে যাওয়ায় কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে নটরডেম কলেজ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও গাড়ি আটকে থাকতে দেখা যায়।
ভারী বৃষ্টিপাতে নিম্ন-আয়ের মানুষ, বিশেষ করে দিনমজুররা সবচেয়ে বাজে অবস্থায় পড়েছেন। বৃষ্টির কারণে তাদের স্বাভাবিক কর্মজীবন থেমে গেছে। বেশিরভাগই খারাপ আবহাওয়ার মুখে ঘর থেকে বের হতে পারেননি।
জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়ও। ওই এলাকা থেকে বের হওয়ার মূল সড়কে পানিতে আটকে গেছে যানবাহন। মূল রাস্তার পাশের রাস্তাতেও পানি জমে গেছে। বনানী এলাকাতেও বৃষ্টির পর পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার অতিক্রম করে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র তা মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
এতে আরও বলা হয়, আগামী ৩ দিন দেশের আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে এবং বৃষ্টিপাত অব্যাহতের প্রবণতা কিছুটা কিছুটা কমতে পারে।