মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় যুবলীগের সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষীর চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেয়া সাত জন হলেন- মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মুরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন এবং মো. আমিনুল ইসলাম। এর আগে অস্ত্র মামলায় তারা চার দিনের রিমান্ডে ছিলেন।
মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় সিআইডি পুলিশ দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে নিজ কার্যালয় থেকে রিমান্ডে থাকা আসামি জি কে শামীমসহ সাত দেহরক্ষীকে আটকের সময় নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুর ডলার, জি কে শামীমের মায়ের নামে ট্রাস্ট ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ শাখায় ২৫ কোটি টাকার করে চারটি এবং ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার একটি ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক মহাখালী শাখায় ১০ কোটি টাকা করে চারটি এফডিআর, শামীমের নামীয় টাস্ট ব্যাংক কেরানীগঞ্জ শাতায় ২৫ কোটি টাকার একটি এফডিআর, জব্দ করা হয়। এছাড়া ৩৪টি ব্যাংক একাউন্টের চেক বই উদ্ধার করা হয়।
আসামিদের গ্রেপ্তারের সময় বিপুল অর্থের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে বা বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তারা উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করার জন্য মজুদ রেখেছিল বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেদের সামনে স্বীকার করায় তাদের বিরুদ্ধে নায়েব সুবেদার মো. মিজানুর রহমান মামলাটি করেন। তাই অর্থের উৎস সম্পর্কে জানতে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এ দিন রাষ্ট্রপক্ষে জেনারেল রেকডিং অফিসার (জিআরও) পুলিশের এসআই শেখ রকিবুল ইসলাম রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।
অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে আইনজীবী আবদুর রহমান হাওলাদারসহ কয়েকজন রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিনের শুনানিতে বলেন, এ মামলার মূল আসামি জি কে শামীমের ৩৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে।
কিন্তু এ আসামিদের একজনেরও ব্যাংক এ্যাকাউন্ট নেই। বৈধ অস্ত্রের মামলায় এর আগে তাদের চার দিনের রিমান্ড হয়। তাই তাদের রিমান্ডে নেয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তাদের রিমান্ডে নেয়া মানেই শারীরিকভাবে টর্চার করা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে অস্ত্র মামলায় গত ২১ সেপ্টেম্বর এই সাত আসামির চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। ওই রিমান্ড শেষে গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওইদিনই এই অর্থ পাচার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।