দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তিই শেখ হাসিনার মূল লক্ষ্য

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টানা প্রায় ১১ বছরের শাসন আমলে দেশের অর্থনীতিতে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। এই সময়ে দারিদ্রের হার নেমেছে অর্ধেকে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে প্রায় তিনগুণ।  অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, রেমিট্যান্স, রিজার্ভ ও বিদেশি বিনিয়োগ সবগুলোর সূচক রয়েছে ইতিবাচক ধারায়। উন্নয়নের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ নাম উঠেছে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায়। বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এ অর্জন সম্ভব হয়েছে, কেবল সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই।

টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার পরিচালনায় দেশের প্রাচীনতম দল আওয়ামী লীগ। দলটির নেতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৭১’এ দেশ রাজনৈতিক স্বাধীনতা লাভ করে। আর তার কন্যা শেখ হাসিনার লক্ষ্য দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি।

২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি নজর দেন দারিদ্রের হার কমিয়ে আনার দিকে। বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে দারিদ্রের হার (জিএফএক্স) ৪১ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ২১ শতাংশ। একই সময় মাথাপিছু আয় প্রায় তিনগুণ বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৯০৯ ডলার। অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বেড়েছে প্রায় তিন শতাংশ। বাজেটের আকার ছয়গুণ দাঁড়িয়েছে, পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকায়।

টানা ১০ বছরে রপ্তানি আয়ে সাফল্য এসেছে অভূতপূর্ব। ২০০৭-০৮ অর্থ বছরে যেখানে রপ্তানি হয়েছিল (জিএফএক্স) এক হাজার ৫০০ কোটি ডলার, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা ঠেকেছে চার হাজার ৫৩ কোটি ডলারে। রেমিট্যান্স বেড়েছে তিনগুণ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছাড়িয়েছে তিন হাজার তিনশ কোটি ডলার। ৭৬৮ মিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ এখন তিন হাজার ছয়শ কোটি ডলার।

বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা পাঁচ গুণ বেড়ে হয়েছে ২২ হাজার ৩২৯ মেগাওয়াট। দেশের টাকায় শুরু হওয়া পদ্মা সেতুসহ চলমান আছে মেট্রো রেল, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো, বেশ কিছু মেগা প্রজেক্ট। এই সময়ে, বাংলাদেশ অর্জন করেছে মধ্যম আয়সহ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি। যার সক্ষমতার প্রমাণ মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পাঠানোর মধ্য দিয়ে।

কোন ধরনের যুদ্ধ ছাড়াই, বাংলাদেশ জয় করেছে ২০০ নটিক্যাল মাইলের বিশাল সমুদ্র এলাকা, ভারতের সঙ্গে বিনিময় হয়েছে ছিট মহল। আর, ডিজিটাল বাংলাদেশতো এখন হাতের মুঠোয়। যা জানান দেয়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্বের।