Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৯ বুধবার, জুলাই ২০২৫ | ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

মমেক হাসপাতালে মারমুখী চিকিৎসক! অসহায় রোগী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৩৪ PM
আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৩৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অনিক মন্ডল এক পুলিশ সদস্যের উপর চড়াও হওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় ময়মনসিংহের জনগণের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। 

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ‘নিরব স্বপ্ন’ নামের একটি আইডি থেকে ওই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, রাগান্বিত ওই চিকিৎসক এক পুলিশ সদস্যকে বলছেন ‘রুম থেকে বেড়িয়ে যাও’।

পুলিশ সদস্য তার নামে নালিশ করবেন বললে চিকিৎসক বলছেন, ‘দেখি কি বাল হালাইতে পারো।’ 

হাসপাতালের এক পিয়ন জানিয়েছে ওই পুলিশ সদস্যের নাম সিয়াম। 

একটি সূত্র ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জানান, ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের আউডোরের ২২৪ নাম্বার রুমে।

ময়মনসিংহের পুলিশ লাইন্সে কর্মরত দুই পুলিশ কনস্টেবল চর্ম ডাক্তার অনিক মন্ডলের কাছে যান চিকিৎসার জন্য। তাদের একজন পুলিশের পোশাক পরিহিত আরেকজন সিভিল ড্রেসে ছিলেন।

পোশাক পরিহিত সদস্যের নেমপ্লেটে সিয়াম নাম লেখা ছিলো। চিকিৎসার জন্য টিকিট নিয়ে ডাক্তারের রুমে প্রবেশ করলে ডাক্তার অনিক মন্ডল একজনকে বাইরে থাকার কথা বলেন। পুলিশ সদস্যরা একসাথে থাকার কথা বললে ডাক্তার রাগান্বিত হয়ে উঠেন।

পরে বিষয়টি নিয়ে ডাক্তার ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই ডাক্তার বলেন, পুলিশ হইছো কি হইছে, বিসিএস নাকি?। এটা আমার রুম, রুম থেকে বিড়িয়ে যাও। তার নামে নালিশ দেয়ার কথা বললে ডক্তার পুলিশ সদস্যকে বলেন, ‘যাও কি বাল হালাইতে পারো দেখি।’

এ সময় ওই পুলিশ সদস্য মোবাইল ক্যামেরায় যাবতিয় কথা ভিডিও ধারণ করে। পরে ধারণ করা ভিডিও নিরব স্বপ্ন নামের একটি আইডির পোস্টে দেখা যায়। ভিডিওটি ২৭ সেপ্টেম্বর ৩ টা ১৪ মিনিটে পোস্ট দেয়ার ২ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় নয় হাজার ভিউ হয়। এছাড়াও কমেন্টসের ঝড় উঠে ডাক্তারের আচরনের বিপক্ষে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন বলেন, আমি ভিডিওটি দেখেছি, পুলিশের পক্ষ থেকে সহকারী পরিচালককে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে। বিষয়টি আরও অধিকতরভাবে দেখা হচ্ছে। উনি এমন ব্যবহার করতে পারে না।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ডাক্তার অনিক মন্ডলের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ শামছুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ওই দুই পুলিশ কনেস্টেবল আমাদের কাছে মৌখিক অভিযোগ দিতে আসছিল।

পরে অভিযুক্ত চিকিৎসককেও আমরা ডেকে ছিলাম। সে এমন আচরনের জন্য আমাদের কাছে সরি বলেছে। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Bootstrap Image Preview