সুন্দরবনে কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ দুই দস্যু আটক

সুন্দরবনের ডাকাতিয়া খাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে বনদস্যু রফিক বাহিনীর দুই সদস্যকে আটক করেছে কোস্টগার্ড বাহিনী পশ্চিম জোনের বিসিজি হারবারিয়ার স্টেশনের অপারেশন টিমের সদস্যরা। এ সময় দস্যু বাহিনীর কাছে মুক্তিপণের দাবিতে জিম্মি থাকা তিন জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দস্যুদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মোংলা কোস্টগার্ড বাহিনী পশ্চিম জোনের  গোয়েন্দা দপ্তর।

কোস্টগার্ড বাহিনী পশ্চিম জোনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোস্টগার্ড বাহিনীর টহল দলের সদস্যরা সুন্দরবনে নিয়মিত অভিযান চলাকালে জেলেদের মাধ্যমে তিন জেলে দস্যুদের হাতে অপহৃত হওয়ার খবর পায়। এর ভিত্তিতে হারবারিয়া ফরেস্ট অফিসের অদূরে ডাকাতিয়া খালে তল্লাশি চালিয়ে একটি সন্দেহভাজন নৌকা চ্যালেঞ্জ করে কোস্টগার্ড সদস্যরা। এ সময় দস্যু গ্রুপের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধারালো অস্ত্রসহ দুই দস্যুকে আটক ও জিম্মি তিন জেলেকে উদ্ধার করা হয়।

আটক দস্যুরা হলেন- খুলনা জেলার দীঘলিয়া উপজেলার সুলতান শেখের ছেলে হোসেন শেখ (২৮) ও একই উপজেলার নবির শেখের ছেলে রুবেল শেখ (২১)। তারা দুজনই কুখ্যাত বনদস্যু রফিক বাহিনী সক্রিয় সদস্য। 

অন্যদিকে উদ্ধার জেলেরা হলেন- মোংলা উপজেলার সোনাইলতলা গ্রামের শাহজাহান (৬০), একই উপজেলার দক্ষিণ চিলা গ্রামের আশরাফ (৬০) এবং রামপাল উপজেলার অজিত মজুমদার (৫৫)।

এই তিন জেলেকে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণের দাবিতে চারদিন আগে অপহরণ করে দস্যু রফিক বাহিনীর সদস্যরা। আটক দস্যুদের বৃহস্পতিবার রাতে মোংলা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া জেলেদের স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটককৃত দুই দস্যুর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর শুক্রবার সকালে তাদের জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

কোস্টগার্ড বাহিনী পশ্চিম জোনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আরো জানান, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীর এখতিয়ারভুক্ত এলাকায় যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতা, বনদস্যু জলদস্যুদের অপতৎপরতা, মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করাসহ ও বন্যপ্রাণি পাচারকারী এবং নিধনকারীদের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ড বাহিনী নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাবে।