Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৯ বুধবার, জুলাই ২০২৫ | ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

জাল সনদে চাকরি, সরকারিকরণ হওয়ার পর পালালেন শিক্ষিকা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৭:৪০ PM
আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৭:৪০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


জাল সনদে নাজনীন নাহার দীর্ঘ ৯ বছর প্রভাষক পদে চাকরি করেছেন পাবনার ভাঙ্গুড়ার ঐতিহ্যবাহী হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগে। এক বছরে তিনি সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ২৩ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন।

সম্প্রতি কলেজ সরকারি হওয়ায় সনদপত্র যাচাই-বাছাইকলে তার নিবন্ধন সনদ জাল বলে প্রমাণিত হয়। এতে তিনি স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে চলে যান।

তবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ওই শিক্ষকের নামে থানায় মামলা করতে কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।

হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাজনীন নাহার ২০১০ সালে ওই কলেজে প্রভাষক পদে আবেদন করে চূড়ান্ত নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন। সেই সময়ে নাজনীনের নিবন্ধন নিয়ে কেউ কেউ আপত্তি তোলেন। তবে তিনি স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে কলেজ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।

নিয়োগ পাওয়ার পর তিনি কলেজে ২০১০ সাল থেকে চাকরি করে আসছিলেন। এরপর এমপিওভুক্তির সময় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও শাখাকে ম্যানেজ করে এমপিওভুক্তি করে নিয়ে আসেন।

এরপর বিষয়টি নিয়ে আর কোনো কথা ওঠেনি। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০১৬ সালে এ কলেজকে জাতীয়করণের প্রক্রিয়ার অন্তর্ভূক্ত করা হয়। শুরু হয় সরকারিভাবে শিক্ষকদের সনদসহ কলেজের সব নথিপত্র যাচাই-বাছাই।

আর এই যাচাই-বাছাইয়ের পর ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট এই কলেজের সরকারিকরণের জিও (গভর্নমেন্ট অর্ডার) জারি হয়। এরপর এনটিআরসিএ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের জন্য তলব করে কলেজ কর্তৃপক্ষকে। এসময় কলেজ কর্তৃপক্ষ নিয়োগ প্রাপ্ত ১৭ জন শিক্ষকের নিবন্ধন সনদ এনটিআরসিএর কাছে পাঠায়।

যাচাই-বাছাই শেষে চলতি মাসের ৫ সেপ্টেম্বর এনটিআরসিএ নাজনীন নাহারের নিবন্ধন সনদ জাল বলে একটি প্রতিবেদন কলেজে পাঠান। একইসঙ্গে তারা ওই প্রতিবেদনের অনুলিপি ভাঙ্গুড়া থানায় পাঠিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে নাজনীন নাহারের বিরুদ্ধে মামলা করতে নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে সরকারি হাজী জামাল উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শহীদুজ্জামান বলেন, ‘এনটিআরসিএ কর্তৃক শিক্ষক নাজনীন নাহারের নিবন্ধন সনদ জাল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই তাকে নোটিশের মাধ্যমে অবগত করা হয়।

কিন্তু ওই শিক্ষক আর পরবর্তীতে কলেজে না এসে নিজ থেকেই অব্যাহতি দেন। অভিযুক্ত শিক্ষক নাজনীন নাহারের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজের সভাপতি সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, ৯ বছর সরকারি বেতন ভোগ করেছেন। তাই সরকারি টাকা ফেরত নিতে জাল নিবন্ধন ধারীর বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

Bootstrap Image Preview