Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৯ বুধবার, জুলাই ২০২৫ | ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

সাড়ে ১২ বছর পর বাসায় গিয়াসউদ্দিন মামুন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:৪৭ PM
আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:৪৭ PM

bdmorning Image Preview


প্রায় সাড়ে ১২ বছর পর বাসায় আসলেন অর্থ পাচার মামলায় দণ্ডিত বিতর্কিত ব্যবসায়ী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন। মায়ের মৃত্যুর জন্য আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় প্যারোলে মুক্তি পান তিনি।

কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে। তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার জাহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘৪ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন গিয়াস আল মামুন। ওই সময় পার হলে তাকে ফের কারাগারে নিয়ে আসা হবে। মুক্তি পাওয়ার পর তাকে রাজধানীর শুক্রবাদের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

মামুনের পরিবার জানিয়েছে, সময় স্বল্পতার কারণে জানাজায় অংশগ্রহণ করলেও বনানী কবরস্থানে মায়ের দাফনের জন্য যেতে পারেন তিনি। এরপর কিছু সময় তিনি শুক্রবাদের বাসায় ছিলেন।

পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মামুনকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশে নিয়ে যায় পুলিশ।

প্রসঙ্গত, বার্ধক্যজনিত কারণে গত বুধবার ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের মা মোসাম্মত হালিমা খাতুন মারা যান। মায়ের মৃত্যুতে মামুনের প্যারোলে মুক্তি চেয়ে আবেদন করেন তার ভাই জালাল উদ্দিন রুমী।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রাবাদের পৈত্রিক নিবাসসংলগ্ন সরকারি কলোনি মসজিদ মাঠে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে মামুনের বাবা জয়নাল আবেদীনের কবরের পাশে মা হালিমা খাতুনকে সমাহিত করা হয়।

ওয়ান-ইলেভেনের জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ৩১ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন মামুন। তখন থেকেই প্রায় সাড়ে ১২ বছর ধরে তিনি কারাগারে আছেন। এ সময়ে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থপাচার, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে দেড় ডজন মামলা দায়ের হয়।

অর্থ পাচার মামলায় সাত বছর কারাদণ্ড ও ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডপ্রাপ্ত মামুন নাইকো দুর্নীতি মামলার ছাড়া সবকটিতে জামিনে রয়েছেন। নাইকো মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তৎকালীন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন আসামি। মামলাটি চলমান রয়েছে।

Bootstrap Image Preview