Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৯ বুধবার, জুলাই ২০২৫ | ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ক্যাসিনোর জায়গা দিতে বাধ্য হয়েছিল মোহামেডান: পিন্টু-প্রতাপ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৫৪ PM
আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৫৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


মতিঝিলের মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের যে অডিটোরিয়ামটিতে অবৈধ ক্যাসিনো ছিল, সেখানে রোববার বিকেলে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। একযোগে অভিযান চালানো হয়েছিল দিলকুশা, আরামবাগ ও ভিক্টোরিয়ায়। 

এর আগে গত বুধবার অভিযান চালানো হয়েছিল ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব ও ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে। প্রতিটি ক্যাসিনো তল্লাশি করে পুলিশ সেগুলো সিলগালা করে দিয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনে এখন সবচেয়ে আলোচিত ক্লাব পাড়ার এই ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান।

যে ছয় ক্লাবে ক্যাসিনো বাণিজ্য হতো শুধু সেগুলোই নয়, পুরো ক্লাব পাড়াই এখন থমথমে। আগে রাত যতো গভীর হতো ক্যাসিনোর কারণে ক্লাব পাড়ায় ভিড় ততো বাড়তো।

এখন সন্ধ্যা নামতেই সুনসান নীরবতা ফকিরেরপুল, আরামবাগ ও মতিঝিলের এই ক্লাব পাড়ায়। জুয়া তো দূরের কথা- ক্লাবের সদস্যরাও এখন আর ভুলেও কার্ড নিয়ে বসেন না। বেশিরভাগ ক্লাবের সদস্যদের কেউ এখন আর এমুখিও হন না।

আজ (সোমবার) মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের দুই সাবেক তারকা ফুটবলার, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু ও সহকারী অধিনায়ক প্রতাপ শঙ্কর হাজরা প্রায় পুরোটা দিনই কাটিয়েছেন ক্লাবে। দুজনই ক্লাবের পরিচালক।

পিন্টু-প্রতাপ থাকায় পুলিশি অভিযানের পরদিন মোহামেডানের কি হালচাল তা জানার জন্য যে গণমাধ্যমকর্মীরা ক্লাবে গিয়েছিলেন তারা পেয়েছেন খবরের দারুণ রসদ। ক্লাবে ক্যাসিনো এবং পুলিশের অভিযান সাদাকালোদের একসময়ের স্বপ্নের দুই তারকার একসঙ্গে প্রতিক্রিয়া- এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি!

ছয় ক্লাবে ক্যাসিনো চললেও ঐতিহ্যের কারণে আলোচনায় বেশি মোহামেডান। ফুটবল, ক্রিকেট আর হকির মাঠ মাতিয়ে যে ক্লাবটি অগণিত মানুষের ভালোবাসার মধ্যমণি, সেই ক্লাবটি এখন আলোচনায় নেতিবাচক খবরে।

তাও ক্লাব প্রাঙ্গণে ক্যাসিনো থাকার ঘটনায়। ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেরই মন্তব্য, মোহামেডানের নাম আর ঐতিহ্যের সঙ্গে ক্যাসিনো যায় না।

মোহামেডানে ক্যাসিনো। পুলিশের অভিযান। ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে কি মনে করেন? এতে ক্লাবের মর্যাদা কতটুকু ক্ষুণ্ন হয়েছে? ‘মোহামেডান দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব।

মর্যাদা ক্ষুন্ণের বিষয়টি আসতো যদি ক্লাব ক্যাসিনো পরিচালনা করতো। যেখানে ক্যাসিনো চলতো সেই রুমটির দরজা কিন্তু বাইরে, রাস্তার সাথে। ওটা ভাড়া বাবদ কিছু টাকা পাওয়া ছাড়া ক্লাবের আর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এমনকি ওই রুমটার পানি, বিদ্যুৎ বিলও ক্লাব পরিশোধ করেনি’- বলেছেন জাকারিয়া পিন্টু।

মোহামেডান ক্লাবে কীভাবে ক্যাসিনো শুরু হলো? কেন হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতাপ শঙ্কর হাজরা বলেন, “আমরা ক্যাসিনোর জন্য ক্লাবের ওই হল রুমটি ভাড়া দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। যারা ওখানে ক্যাসিনো বাণিজ্য করেছে তাদের ইচ্ছা উপেক্ষা করার মতো সুযোগ, ক্ষমতা ও পথ আমাদের ছিল না।

আমরা যে টাকাটা পেতাম, সেটা ক্লাবের খরচের তুলনায় কিছুই না। ওটা ব্যাডমানি হলেও আমি বলবো ‘ব্যাডমানি ইনভেস্ট ফর গুড পারপাস।’ ক্লাব চলে সদস্যদের চাঁদা আর কিছু ডোনারের টাকায়। ক্লাব পরিচালনা করতে এখন অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। অনেকে সে খবর রাখে না।”

Bootstrap Image Preview