Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১০ বৃহস্পতিবার, জুলাই ২০২৫ | ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভিসির পদত্যাগ দাবিতে অনড় বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:৩৪ PM
আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:৩৪ PM

bdmorning Image Preview


গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বাবিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো বিরতিহীন আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের মুখে গতকাল শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা  করে কর্তৃপক্ষ। সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, কোনো শিক্ষার্থীই সে আদেশ মানেননি। তারা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।

এদিকে, ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন স্থানে শনিবার বহিরাগতদের হামলায় ২০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনার পর আবারো হামলার আশঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ওপর এমন হামলার প্রতিবাদে সহকারী প্রক্টর মো. হুমায়ূন কবীর পদত্যাগ করেন। 

ক্যাম্পাস উত্তাল থাকায় ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোনায়েন করা হয়েছে। ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে হল ত্যাগ না করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

রেজিস্ট্রার মো. নূরউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা আগের মতোই আন্দোলন করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালানো হলেও তারা আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি। কিছু শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করেছে বলে জেনেছি। কিস্তু বেশিরভাগই রয়ে গেছে।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মো. বশির উদ্দিন  শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে ইইই বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. আব্দুর রহিমকে প্রধান, আইন বিভাগের ডিন আ. কুদ্দুস মিয়াকে সদস্য সচিব এবং ড. শামসুল আরেফিনকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে হল ছাড়ার অফিস আদেশ থাকলেও শিক্ষার্থীরা কিন্তু হলে অবস্থান করছে। আসলে আমরা তাদেরকে রাগাতে চাই না। একটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাই আমরা। তবে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই আবারো হামলার আশঙ্কায় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেছে। যারা ক্যাম্পাসের বাইরে ছিল তারাও অনেকে যার যার গ্রামের বাড়িতে চলে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। 

Bootstrap Image Preview