Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১০ বৃহস্পতিবার, জুলাই ২০২৫ | ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাবার ৩ হত্যাকাণ্ডের ভয়ানক বর্ণনা দিলো ১২ বছরের মেয়ে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৪০ PM
আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৪০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দুই শিশু কন্যাসহ গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বোনের স্বামী আব্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের পাওয়ার হাউজের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা (ডিআইও-২) মো. সাজ্জাদ রোমন।

বৃহস্পতিবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা এলাকার সাততলা ভবনের ষষ্ঠ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। একই পরিবারের ওই তিনজনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।

নিহতরা হলো- সিদ্ধিরগঞ্জের জোনাকি ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী সুমনের স্ত্রী নাজনীন আক্তার (২৮) মেয়ে নুসরাত (৬) ও খাদিজা (২)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাজনীনের বোনের জামাই (দুলাভাই) আব্বাসের প্রতিবন্ধী মেয়ে সুমাইয়া (১২) ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জোনাকি ফিলিং স্টেশনে বুধবার রাতের ডিউটি শেষে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বাসায় ফেরেন স্বামী সুমন। এরপর ঘরে ঢুকে তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তানের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। এরপর স্থানীয়রা বিষয়টি দেখে পুলিশে খবর দেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুকসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। কিছুক্ষণ পর সিআইডির ঢাকার একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন।

এসপি হারুন অর রশীদ বলেন, ঘটনাটি সকাল ৮টায় ঘটেছে। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে জেনেছি আব্বাসের সঙ্গে তার স্ত্রীর দ্বন্দ্ব চলছিল। দ্বন্দ্বের জের ধরে আব্বাসের স্ত্রী বোনের বাড়িতে চলে আসে।

বোনের বাড়িতে আসার ফলে বিরোধ আরও বেড়ে যায়। সকালে আব্বাসের স্ত্রী পোশাক কারখানায় চলে যায়। এ ফাঁকে কথা বলতে শ্যালিকার বাসায় আসে আব্বাস। কথা বলার ফাঁকে বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এরই মধ্যে আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।

আহত সুমাইয়া পুলিশকে জানায়, আমার বাবা আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। আমার বাবাই খালামনি নাজনীন বেগম ও তার দুই মেয়ে নুসরাত ও খাদিজাকে হত্যা করেছে। আমার বাবা মাদকাসক্ত। গতকালও আমাকে মারধর করেছে। সে কারণেই গতকাল আমি ও আমার মা খালামনির বাসায় চলে আসি।

নিহতের ছোট ভাই হাসান জানান, প্রায়ই মাদক সেবন করে আমার বড় বোনের স্বামী আব্বাস মিয়া বাড়িতে এসে মারধর করতো সকলকে। এ ঘটনায় আমার ভাগ্নি সুমাইয়া বাড়ি থেকে লুকিয়ে পালিয়ে খালার বাসায় বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) চলে আসে। পরে রাতের কোন এক সময় তাকে নিতে আসে আব্বাস। আব্বাসই তিনজনকে গলাকেটে হত্যা করে নিজের মেয়েকেও কুপিয়ে আহত করেছে।

নিহতের বোন ইয়াসমিন বলেন, আমি পোশাক কারখানায় চাকরি করি। আমার স্বামী আব্বাস মিয়া মাদকাসক্ত। প্রতিবন্ধী মেয়ে সুমাইয়াকে মারধরের কারণে বুধবার রাতে নাসরিনের বাসায় চলে আসি। বৃহস্পতিবার সকালে কারখানায় যাই। পরেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে।

 

Bootstrap Image Preview