রোহিঙ্গা ধরতে নতুন কৌশলে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অন্যদিকে চলমান ভোটার হতে ‘মরিয়া’ পরিস্থিতির মধ্যে চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদের নিবন্ধন কাজে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সূত্র জানায়, দেশের সব উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসের সার্ভারের বিদ্যমান পাসওয়ার্ড ও কোড নম্বর পরিবর্তন করে নতুন ‘সিকিউরিটি ফিচারস’ সন্নিবেশ করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার তৎপরতার মধ্যে সম্প্রতি চট্টগ্রামে নারী রোহিঙ্গার জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ ও অর্ধশতাধিক নাগরিকের তথ্যে অসঙ্গতি ধরা পড়ার পর এ উদ্যোগ নেওয়া হল।
ইসি সচিব মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, রোহিঙ্গাদের ভোটার হতে অপতৎপরতা রোধে মাঠ পযায়ের সব কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সতর্কতার নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ভোটার করতে কারো সংশ্লিষ্টতা পেলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করা হবে। ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারি বা অন্যরা জড়িত থাকলে বিভাগীয় মামলা করা হবে।
ভালোভাবে দেখে ও যাচাই-বাছাই করে ভোটার নিবন্ধন কাজ শেষ করার জন্যে ইসির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান, মাঠ পযায়ের সব সার্ভার স্টেশনের নতুন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাতে কেউ কোনোভাবে কারো বিষয়ে অপতৎপরতা চালাতে না পারে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে এনআইডি জালিয়াত চক্রের ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
ইসির উপ সচিব আব্দুল হালিম খান বিশেষ এলাকার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আলাদা চিঠিতে বলেছেন, রোহিঙ্গা অদ্যুষিত এলাকায় রোহিঙ্গারা ভোটার হতে নানা পন্থা অবলম্বনের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
প্রতিটি বিশেষ ফরম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিতে ইসির নির্দেশনা সংশ্লিষ্টদের পাঠিয়েছেন তিনি।
আলাদা চিঠিতে সব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার বিষয়ে কারো কোনো রূপ সংশ্লিষ্ট পাওয়া গেলে এবং তদন্তে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে আইনানুগ ফৌজদারী মামলা দায়েরের ব্যস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া রোহিঙ্গাদের ভোটার হতে যদি কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা তাদের স্বপক্ষে সহযোগিতা বা মিথ্যা তথ্য দেয় বা মিথ্যা কাগজপত্র সরবরাহ করে; তাদের বিরুদ্ধেও ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হবে।