Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ মঙ্গলবার, মে ২০২৫ | ২২ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

২ দিনের ব্যাবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫ টাকা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:১৫ AM
আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:১৫ AM

bdmorning Image Preview


ভারতের প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিন্ম রফতানি মূল্য ৮৫০ মার্কিন ডলারের ঘোষণা দেয়ার পর দেশে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। গত দুই দিনে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে দুদফা কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ায় আমাদেরও বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। তাই দ্রুত মিয়ানমারসহ অন্য দেশ থেকে পণ্যটি আমদানি করে সরবরাহ বাড়িয়ে মূল্য সহনীয় করা হবে।

কারওয়ান বাজার, নয়াবাজার ও রামপুরা বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৭৮-৮০ টাকা কেজি দরে। শনিবার ছিল ৭০ টাকা। বৃহস্পতিবার বিক্রি হয় ৫০-৫৫ টাকায়। রোববার ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৭০ টাকা কেজি দরে, শনিবার বিক্রি হয় ৬০ টাকায়। বৃহস্পতিবার ছিল ৪৫-৫০ টাকা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা রুবেল বলেন, শুক্রবার থেকে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম আবারও বেড়ে গেছে। বেশি দামে পেঁয়াজ আনতে হয়েছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।

এদিকে রাজধানীর শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারের পাইকারি আড়ত ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার এক পাল্লা (পাঁচ কেজি) দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকা। শনিবার বিক্রি হয় ৩০০ টাকায়। বৃহস্পতিবার ছিল ২১৫-২২৫ টাকা। রোববার ভারতীয় পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি হয় ৩০০ টাকায়। শনিবার বিক্রি হয় ২৮০-২৯০ টাকায়। বৃহস্পতিবার বিক্রি হয় ২১০-২১৫ টাকায়।

এদিকে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০-৫০ রুপিতে ওঠার পর দেশটির ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) শুক্রবার প্রতি টন ভারতীয় পেঁয়াজের মূল্য ৮৫০ ডলার ঠিক করে নির্দেশনা জারি করে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই মূল্য বহাল থাকারও ঘোষণা দেয়া হয়।

শ্যামবাজারের নাসির ট্রেডার্সের বিক্রেতা আলাউদ্দিন বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। দেশটি রফতানির সর্বনিু মূল্য ৮৫০ ডলার বেঁধে দিয়েছে। আগে ছিল সর্বোচ্চ ৩০০-৩৫০ ডলার।

নতুন মূল্য নির্ধারণের পর থেকে স্থলবন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। সঙ্গে দেশি পেঁয়াজের দামও বেড়ে যায়। নতুন পেঁয়াজ আসা শুরু করলে পেঁয়াজের দাম কমতে থাকবে। নয়াবাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আক্তার মোল্লা বলেন, কয়েক দিন পর পরই দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়ে। এতে পণ্যটি ক্রয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। এবার ফের বাড়ল।

কারওয়ান বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা কাদের হোসেন বলেন, বুধবারও দেশি পেঁয়াজ কিনেছি ৫০ টাকায় আর আজ (রোববার) ৮০ টাকা হয়ে গেছে। এমন করে দাম বাড়লে সব কিছু কিনে বাড়ি ফেরা কঠিন হয়ে যায়। এখন ৫ কেজির বদলে ২ কেজি নিয়ে বাড়ি ফিরছি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, ভারত ছাড়াও বিকল্প কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। উদ্যোগ নেয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ব্যবসায়ীদের মতে, বর্তমানে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ৩০ লাখ টন। এ বছর ১৯-২০ লাখ টন দেশে উৎপাদন হয়। চাহিদার বাকি অংশটা আমদানিতে মিটছে। আর দেশের আমদানি করা পেঁয়াজের বেশির ভাগই আসে ভারত থেকে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, কয়েক সপ্তাহ আগেও ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় দেশে তার প্রভাব পড়েছিল। এবারও ভারত দাম বৃদ্ধি করেছে। ফলে দেশের বাজারেও পণ্যটির দাম বেড়েছে।

তবে দাম বাড়লেও বিক্রেতারা যাতে যৌক্তিক দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে সেদিকে অধিদফতরের তদারকি টিম কাজ করবে। কেউ যাতে এই সুযোগে অতি মুনাফা করতে মরিয়া হয়ে না পড়ে সেদিকে আমরা সজাগ আছি।

Bootstrap Image Preview