Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ মঙ্গলবার, জুলাই ২০২৫ | ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

চাঁদার বিষয়টি স্বীকার করে রাব্বানী বললেন, ভিসির কাছে ‘ন্যায্য পাওনা’ চেয়েছিলাম

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৫:১৯ PM
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৫:১৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার ‘৪ থেকে ৬ শতাংশ’ চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি অবশেষে স্বীকার করলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। একটি গণমাধ্যমকে গতকাল শুক্রবার তিনি জানান, উপাচার্যের কাছে তারা ‘ন্যায্য পাওনা’ চেয়েছিলেন। 

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী তার কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার ‘৪ থেকে ৬ শতাংশ’ চাঁদা দাবি করেছে। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা উপাচার্যের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

ওই বিষয়টি গতকাল বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছেও বলেন জাবি উপাচার্য। ছাত্রলীগ কত টাকা চাঁদা চেয়েছিল, তা জানা যায়নি। তবে পুরো প্রকল্প তহবিলের ছয় শতাংশ মানে হলো ৮৬ কোটি টাকার সমপরিমাণ।

উপাচার্যের ওই বক্তব্যের বিষয়ে গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘উপাচার্য ম্যাম ঈদের আগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগকে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা দেন। তার একটি টাকাও আমাদের ছিল না।’

তবে গোলাম রাব্বানীর দেওয়া ওই বক্তব্য মিথ্যা বলে দাবি করে গতকাল এর প্রতিবাদ জানায় জাবি শাখা ছাত্রলীগ। প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প ঘিরে ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত সংবাদগুলোতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সম্পর্কে যেসব তথ্য পেয়েছেন এবং সেই তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যে বিবৃতি প্রদান করেছেন, তা সম্পূর্ণ অসত্য।’  

পরে গতকাল রাতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা চাঁদা দেওয়ার ঘটনাটি তিনি জাবি ছাত্রলীগের কাছ থেকে জেনেছেন।

গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘জাবি ছাত্রলীগের সদস্যরা এসে আমাকে পুরো ব্যাপারটি জানিয়েছে। জাবিতে এমন কেউ নেই যারা বিষয়টি জানে না। ক্যাম্পাসের প্রত্যেকেই পুরো ঘটনাটি জানে।’ 

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে আমি এবং শোভন উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করি এবং বলি, ম্যাম, আপনি তাদের টাকা দিয়েছেন। তাহলে আমাদের ন্যায্য পাওনা কই? আমাদের ঈদ বোনাস কই?’

ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাবি প্রশাসন আমাদের কোনো টাকা না দিলেও, আমাদের নেতৃত্বের নিচে যারা রয়েছে তাদেরকে টাকা দিয়েছে। এ বিষয়ে উপাচার্য কী বলবেন? তারা আমাদের কিছুই দেয়নি। তারা জাবি ছাত্রলীগকে টাকা দিয়েছে। এতে কী কোনো ধারণা পাওয়া যায়?’

Bootstrap Image Preview