রোহিঙ্গারা যে উৎস থেকে মোবাইল এবং সিম পেয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার কাজ করছে প্রশাসন; জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।এরই মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে কেআইবি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, টেকনাফ এবং উখিয়ায় আমাদের দেশের নাগরিকরা আছেন। সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক যদি বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে তাদেরটা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই ক্যাম্পগুলোতে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে, কেউ যাতে মোবাইল ব্যবহার না করে। তারপরও যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের হাতে হাতে মোবাইল ফোন এই বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য আসছে; আমরা ব্যবস্থাও নিচ্ছি। তবে এখানে একটু জটিলতা আছে।
রোহিঙ্গারা এই দেশে এসে পাসপোর্ট পাচ্ছে এটা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা ভুয়া তথ্য নিয়ে পাসপোর্টের জন্য যাচ্ছে তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করা শুরু করেছি। এমনকি চিহিৃতদের পাসপোর্ট দেওয়া বন্ধ রেখেছি।
ভুয়া নাম ও ভুয়া জন্মনিবন্ধন নিয়ে যারা পাসপোর্ট করতে চেষ্টা করছেন তাদের চিহ্নিত করে মামলা এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে। রোহিঙ্গারা যাতে ক্যাম্প থেকে বের না হন সে জন্য কড়া হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন স্বরাষ্টমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের যারা বাংলাদেশে ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে তারা যেন সেখান থেকে না বের হন। যারা বের হবেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা অন্য কোনো ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে দেশটির সেনাবাহিনী ও মগ জাতিগোষ্ঠীর মানুষ রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন শুরু করে। নির্যাতন থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের ঢল শুরু হয়।
কয়েক মাসের মধ্যে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। এর আগে বিভিন্ন সময় এ দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। সবমিলিয়ে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে রয়েছে। তাদের নিজ দেশে ফেরাতে সরকার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। দুই দফায় প্রত্যাবাসনের তারিখ হলেও তা সফল হয়নি।
এর মধ্যেই আশ্রিত রোহিঙ্গারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। অপরাধে তারা বাংলাদেশের মোবাইল ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার রোহিঙ্গাদের মোবাইলফোন ব্যবহার বন্ধে নড়েচড়ে বসে।