Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১১ শুক্রবার, জুলাই ২০২৫ | ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে নিহত স্বামী সম্পর্কে যা বললেন শিমলা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:৫৪ AM
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:৫৪ AM

bdmorning Image Preview


বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্লেন ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে কমান্ডো অভিযানে নিহত মাহাবি জাহান ওরফে পলাশ আহমেদের বিষয়ে জানতে শিমলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিলো অনেক আগেই। কিন্তু মুম্বাইয়ে অবস্থান করায় তিনি তখন সময় দিতে পারেননি।

তাই দেশে ফিরে নিজ থেকেই শিমলা ফোন করার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট শিমলাকে ৩ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে অনেক অজানা তথ্য উঠে আসে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) শিমলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া।

রাজেশ বড়ুয়া জানান, জিজ্ঞাসাবাদে শিমলা জানিয়েছেন ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানে একটি অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় দু’জনের। পরিচয়ে পলাশ নিজেকে প্রযোজক বলে পরিচয় দেন। পলাশ বলেন, ঢাকার উত্তরা ও নারায়ণগঞ্জে তার বাড়ি থাকলেও বেশিরভাগ সময় ব্রিটেনে থাকেন তিনি।

পরিচয়ের সময় একে অপরের ফোন নম্বর নেন। পরে মোবাইলে দু’জনের মধ্যে প্রায়ই কথা হতো। এতে দু’জনের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।

২০১৮ সালের ৬ মার্চ দু’জন বিয়ে করেন। পরে বাসায় থাকতে চাইলে পলাশ শিমলাকে উত্তরায় নিজের বাড়িতে ভাড়াটিয়ারা থাকছেন, নারায়ণগঞ্জের বাড়িতে নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি বলে অজুহাত দেখান। এরপরও বিভিন্ন সময় কথা বলতে বলতেই শিমলা বুঝতে পারেন পলাশ একজন শঠ ও প্রতারক। পরে তিনি ২০১৮ সালের ০৫ নভেম্বর পলাশকে বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠান।

বিচ্ছেদের নোটিশ পেয়ে পলাশ বহুবার তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানান শিমলা। বারবার চেষ্টা করলেও পলাশের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ রাখেননি বলেও জিজ্ঞাসাবাদে জানান তিনি।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিমলা বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা কেবল পলাশের সঙ্গে বিয়ে ও বিচ্ছেদের কথা জানতে চেয়েছেন। এর সবকিছুই তিনি জানিয়েছেন।

রাজেশ বড়ুয়া জানান, দেশে ফিরে নিজ থেকেই শিমলা ফোন করার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই বাছাই করা হবে। তদন্তের প্রয়োজনে তাকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার পথে বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজে যাত্রীদের জিম্মি করে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন পলাশ আহমেদ। ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর কমান্ডো অভিযানে নিহত হন পলাশ।

এরপর পলাশসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে ২৫ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা।

Bootstrap Image Preview