Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ শনিবার, জুলাই ২০২৫ | ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্রোতে নদী গর্ভে সেতু, ২০ গ্রামের মানুষের আকমাত্র ভরসা বাঁশের সেতু

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:১৭ AM
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:১৭ AM

bdmorning Image Preview


বন্যার পানির স্রোতে দেবে গেছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কের রাঙ্গাচিড়া সেতুটি। সেতুটি দেবে যাওয়ায় বঙ্গবন্ধু সেতুর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পড়েছে অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ। 

দুর্ভোগ লাঘবে এলাকাবাসী ছোট ছোট যানবাহন পারাপারের জন্য সাময়িকভাবে একটি বাঁশের সেতু নির্মাণ করেছে। এতে যেকোনো সময় বড় রকমের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

টাঙ্গাইল জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ২২ লাখ টাকায় রাঙ্গাচিড়া সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের দায়িত্ব পায় ‘মোল্লা এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দেবে যাওয়া সেতুটির উপর বাঁশের একটি সেতু তৈরি করা হয়েছে। তার মধ্যে কাঠের পাটাতনও লাগানো হয়েছে। এই বাঁশের সেতু দিয়েই অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি, মোটরসাইকেলসহ হালকা যানবাহন চলাচল করছে।

কাকুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস ছাত্তার আজাদ বলেন, রাঙ্গাচিড়ায় নির্মিত সেতুটির নিচে কোনো আরসিসি পিলার ছিল না। স্বল্প ব্যয়ে নির্মিত এ সেতু বন্যার পানির প্রবল স্রোতে গত জুলাই মাসে দেবে যায়।

রাঙ্গাচিড়া গ্রামের রহমত আলী বলেন, এভাবে এ সেতু দিয়ে চলাচল অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান ফারুক বলেন, সেতুটির দরপত্রে পাইলিং করার কোনো নির্দেশনা ছিল না। বন্যার পানির প্রবল স্রোতে সেতুটির নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে দেবে গেছে। এ সেতুর কারণে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বাংলানিউজকে জানান, জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দেবে যাওয়া ওই সেতুর উপর বাঁশ ও কাঠের পাটাতন দিয়ে একটি সেতু তৈরি করে দিয়েছি। নতুন করে সেতু নির্মাণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রকৌশলীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Bootstrap Image Preview