কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে ৩ ডাকাত নিহত

কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্ধুকযুদ্ধে তিন ডাকাত নিহত হয়েছে। গতকাল রোববার গভীর রাতে জেলার বুড়িচং উপজেলার কোমাল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দাবি, নিহত ডাকাতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি, মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে পাঁচটির বেশি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল, গুলি, রামদাসহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে।

নিহতরা হচ্ছেন- জেলার দেবিদ্বার উপজেলার চরবাকর গ্রামের বাবুল ওরফে তরকারি বাবুল (৩৯), ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার গোপালনগর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে এরশাদুল ওরফে আছাদুল (২৭) ও বুড়িচং উপজেলার জগতপুর পুর্বপাড়া এলাকার মৃত আবুল হাশেমের ছেলে অলি মিয়া (৪৩)।

এ সময় আহত হন- বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাসসহ পুলিশের চার সদস্য। আহত অপর সদস্যরা হচ্ছেন- বুড়িচং থানার এসআই মোয়াজ্জেম, এএসআই গোলাম মহিউদ্দিন ও কনস্টেবল রফিক।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা ডিবির ওসি মো. মাঈন উদ্দিন খাঁন জানান, উপজেলার কোমাল্লা গ্রামে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে-এমন খবরে ওই এলাকায় অভিযানে যায় জেলা ডিবি ও বুড়িচং থানা পুলিশ। এ সময় উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ডাকাতদলের তিন সদস্য আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলির খোসা, একটি পাইপগান, পাঁচ রাউন্ড বন্দুকের তাজা গুলি, ছয়টি কাঠের বাটযুক্ত ছোড়া ও রামদা, তিনটি মোবাইল, দুটি টর্চলাইটসহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।