ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুতের আওতায় ১৭ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ নিয়ে আর কোনো অনিশ্চয়তা নয়। মাত্র ৫ মিনিটেই ৯টি উপজেলায় বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রুতি দিলেন পল্লী বিদ্যুৎ ফরিদপুরের জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী আবুল হাসান।
রোববার দুপুরে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের ভাটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে স্থানীয় জনগণ ও গঠন করা স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের চ্যালেঞ্জ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ‘সরবরাহ' নিশ্চিত করতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
যে কোনো দুর্যোগে সর্বনিম্ন সময়ে বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করতে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে রোববার জেলার ৯টি উপজেলার ২০টি বিদ্যুৎ অফিসের আওতায় ৫৩০টি এলাকায় একটি করে স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে।
প্রকৌশলী আবুল হাসান বলেন, ফরিদপুরে মানুষের বিদ্যুৎ সমস্যার অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। এখন আর মানুষকে আলো-আঁধারিতে থাকতে হবে না। নতুন এক অভিনব পদ্ধতির মাধ্যমে পাল্টে গেছে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি।
তিনি বলেন, ৯টি উপজেলায় ১ হাজার ৮০৬টি গ্রামে ৭ হাজার ৭১৫ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করে ৩ লাখ ৪৪ হাজার ২১৫ জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে ঘরে ঘরে আলো পৌঁছে গেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ ফরিদপুরের জেনারেল ম্যানেজার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশ আজ বিদ্যুতে পরিপূর্ণ। বিদ্যুতের সৎব্যবহার ও সমস্যা সমাধানে স্থানীয় জনগণকে সচেতন করে ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে ৫৩টি ১১ কেভি ফিডার লাইনের আওতায় ৫৩০টি স্বেচ্ছাসেবী দল তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি দলে ৪ জন করে সদস্য রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এই নম্বরের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ কেন্দ্র ও হট লাইন নম্বরে দ্রুত যোগাযোগের ব্যবস্থা রয়েছে। যে কোনো সমস্যা হলে সেখানেই পৌঁছে যাবে পল্লী বিদ্যুতের টিম এবং মাত্র পাঁচ মিনিটেই সমাধান হবে।
এ ছাড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের হেড কোয়ার্টারে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু রয়েছে যার মাধ্যমে গোটা জেলা নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। এই নতুন পদ্ধতি শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
পল্লী বিদ্যুতের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তিনি মানুষের সেবায় দ্রুত বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় আন্তরিকভাবে নিয়োজিত থাকার আহ্বান জানান।
এ সময় এজিএম মো. হাফিজুর রহমান, এজিএম মো. হাবিবুর রহমান, এলাকা পরিচালক প্রকৌশলী এফএম আবুল বাশার, শিক্ষক মো. নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর সরদার, মো. ফজলুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।