নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও অনিময়ের অভিযোগে ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড বৈঠকে এমন নির্দেশনা দেন তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের ওপর প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভের মাত্রা অনেক। যে কারণে সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেও তিনি দেখা দেননি। সে সময় উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা তখন দুজনকে গণভবন থেকে চলে যেতে বলেন।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনার পর রাতেই দুই জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করতে যান শোভন-রাব্বানী। তবে দেখা পাননি। এরপর নিজেরাই কয়েক দফা বৈঠক করেন।
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের সভাপতি রেজানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত বছরের ১১ ও ১২ মে। তার আড়াই মাস পর গেল বছরের ৩১ জুলাই শোভনকে সভাপতি ও রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদী আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। গেল ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে ওই কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন কমিটিতে স্থান না পাওয়া বা প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতারা।
সে সময় তারা অভিযোগ করেন, বিবাহিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, চাকরিজীবী ও বিভিন্ন মামলার আসামিসহ নানা অভিযোগবিদ্ধ অনেককে পদ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি অনেক ত্যাগী নেতাকে বঞ্চিত করা হয়েছে।