যৌন উত্তেজক বড়ি সেবন না করায় বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এক গৃহবধূর মুখ বেঁধে শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়েছে তার পাষণ্ড স্বামী।
ভুক্তভোগী নারী উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর-দোয়াতপাড়া গ্রামের সবুজ হোসনের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে তার স্বজনরা।
অভিযুক্ত সবুজ হোসন এর সঙ্গে ৫ বছর আগে তার বিয়ে হয়।
জানা গেছে, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো। শারীরিক সম্পর্ক গড়ার জন্য গত দুমাস ধরে সবুজ তার স্ত্রীকে যৌন উত্তেজক বড়ি খাওয়াতেন। শরীর সুস্থ থাকবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে স্ত্রীকে বড়ি খেতে বাধ্য করতেন তিনি।
সুস্থ থাকার পরও বড়ি সেবন করানো হলে তার মনে সন্দহের হয়। এক পর্যায়ে তিনি কৌশলে জানতে পারেন তাকে সেবন করানো ঔষধটি যৌন উত্তেজক বড়ি।
এ বিষয়টি নিয়ে বুধবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ সময় সবুজ ক্ষুদ্ধ হয়ে স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয় ও মারধর করে। তার কান্না যেন কেউ টের না পায় এ জন্য তার মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। কিন্ত স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি কৌশলে গাজীপুর থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ধুনটে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন।
এ বিষয়ে স্বামী সবুজ হোসেন বলেন, অবাধ্য স্ত্রীকে চড়থাপ্পড় মেরে শাসন করেছি। তার শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়নি। বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে যৌন উত্তেজক বড়ি কিনে ঘরে রেখেছিলাম। কিন্ত এই বড়ি তাকে সেবন করানো হয়নি। সে অভিমান করে বাবার বাড়িতে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই গৃহবধূর চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়ে ফোসকা পড়ার চিহ্ন রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।