Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৩ রবিবার, জুলাই ২০২৫ | ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বেতন নিয়ে শিক্ষকদের সুখবর দিলেন গণশিক্ষা সচিব

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:১১ PM
আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:১১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


মোবাইল ব্যাংকিং শিওর ক্যাশের মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার পরিকল্পনা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এর বিরোধিতা করছেন শিক্ষকরা। শিগগিরই তারা এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং সচিবকে স্মারকলিপি দেবেন। এভাবে বেতন নেওয়াকে অসম্মানজনক বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।

অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেন, শিক্ষকদের বেতন কোনোভাবেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেওয়া হবে না। বর্তমানে যেভাবে দেওয়া হচ্ছে, সেভাবেই দেওয়া হবে।

শিক্ষকদের বক্তব্য, এভাবে বেতন দেওয়া হলে পাড়া-মহল্লার পান দোকানে গিয়ে তাদের টাকা তুলতে হবে। এটি অসম্মানের। দ্বিতীয়ত, প্রতারণার শিকার হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে বেতন দেওয়ার বিরোধিতার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি শামছুদ্দিন মাসুদ বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকরা ব্যাংক একাউন্টে বেতন পাওয়াকে সম্মানজনক মনে করেন। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সাম্প্রতিক সময়ে নানাভাবে প্রতারণার ঘটনা ঘটছে।

পিন নম্বর চুরি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় এভাবে বেতন পাওয়াকে কেউই নিরাপদ মনে করছেন না। প্রাথমিক শিক্ষকরা সরকারের স্বল্প বেতনভোগী।

কোনোক্রমে কোনো মাসের বেতন প্রতারকের হাতে গেলে পুরো মাস ভীষণ কষ্টে যাবে। আমাদের বেতন ব্যাংকেই নিরাপদ। তা ছাড়া এটিএম কার্ড থাকায় ব্যাংকে এখন সময়ও কম লাগে। এই শিক্ষক নেতা বলেন, তারা চান প্রচলিত ব্যবস্থাতেই তাদের বেতন দেওয়া হোক।

সারাদেশে ৬৫ হাজার ৯০১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোতে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ শিক্ষক কর্মরত। বর্তমানে তারা নিজ নিজ ব্যাংক হিসাব নম্বরে বেতন পান।

জানা গেছে, গত বুধবার রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন তাদের মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিশোধে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও বিষয়টি তাদের সক্রিয় বিবেচনাধীন।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাসন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষকতা সম্মানজনক পেশা। আর একজন শিক্ষক ফ্লেক্সিলোডের দোকান থেকে বেতন উত্তোলন করবেন- এটা অত্যন্ত লজ্জার ব্যাপার হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর মতোই সাধারণ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বেতন-ভাতা ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন।

তবে নিম্ন পদের বা চুক্তিভিত্তিক কিছু কর্মচারীর বেতন বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়ে থাকে। এ বিষয়টি তুলে ধরে শিক্ষকরা এভাবে বেতন নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তা তুলে ধরেছেন।

Bootstrap Image Preview