Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৩ রবিবার, জুলাই ২০২৫ | ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিশ্রাম নেওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা আয়াকে হাসপাতাল পরিচালকের লাথি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:৩১ PM
আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:৩১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় নাসরিন আক্তার (২২) নামে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক আয়াকে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে একটি বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার আল-হেরা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত চিকিৎসক আবুল হোসেন ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।

নির্যাতনের শিকার নাসরিন আক্তার জামালপুরের সদর উপজেলার ভাদুরী পাড়া গ্রামের কামরুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি স্বামীসহ কেওয়া পশ্চিমখণ্ড এলাকায় ভাড়া থাকেন। চলতি মাসেই ওই হাসপাতালে আয়ার কাজ নিয়েছিলেন নাসরিন।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের তৃতীয় তলার ফ্লোর পরিষ্কার করছিলেন নাসরিন আক্তার। কিন্তু কাজ করতে করতে হঠাৎ অসুস্থবোধ করায় বৈদ্যুতিক পাখার নিচে সাময়িক বিশ্রামের জন্য বসে পড়েন।

এ সময় হাসপাতালটির পরিচালক চিকিৎসক আবুল হোসেন সেখানে দিয়ে যাচ্ছিলেন। আয়াকে বিশ্রাম নিতে দেখে সেখানে যান তিনি। এরপর বিশ্রাম নেওয়ার কারণে ওই আয়াকে গালাগালি করে লাথি মারেন।

পেটে লাথি দেওয়ায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন অন্তঃসত্ত্বা নারী। পরে তার স্বজনদের খবর দিয়ে কোনো চিকিৎসা না দিয়েই হাসপাতাল থেকে ওই আয়াকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।

নির্যাতনের শিকার নাসরিন জানান, স্বামীর স্বল্প আয়ে তাদের সংসার যেন আর চলছিল না। এ কারণে তিনি চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা বেতনে আল-হেরা হাসপাতালে আয়ার কাজ নেন।

তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে মাথা ঝিমঝিম করায় আমি বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। এ সময় অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে পরিচালক আমাকে লাথি মারতে শুরু করেন। তলপেটে লাথির কারণে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এ ঘটনার পর থেকেই পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। তবে টাকা-পয়সা না থাকায় এখনো চিকিৎসা করতে পারিনি।’

নাসরিন আক্তারের স্বামী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে লাথি দেবে-এটা মেনে নিতে পারছি না। পুরো বিষয়ের বিচারের ভার মহান আল্লাহর ওপর দিয়েছি।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে হাসপাতালের ব্যবস্থাপকের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।

এ বিষয়ে হাসপাতালের ব্যবস্থাপক এম এ হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

Bootstrap Image Preview