ঢাকা শহরে দূষণের মাত্রা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। ঘর থেকে বের হলেই চারপাশে চোখে শুধু উঁচু উঁচু ভবন, যানবাহনের কালো ধোয়া আর মানুষের কর্মব্যস্ততা, অবিরাম ছুটে চলা। পরিকল্পিত নগরায়নের অভাবে ঢাকা দিন দিনই মানুষের বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। এক কথায় বিশ্বের ব্যস্ততম ও বৃহৎ এই নগরীকে বলা যেতে পারে আস্তো একখণ্ড ‘ময়লার ভাগাড়’।
এই ঢাকাই এবার বিশ্বে বসবাসের সবচেয়ে অযোগ্য শহরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে।
যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত বাণিজ্যবিষয়ক প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট–এর গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (সিপিইউ) গত বুধবার ‘গ্লোবাল লিভিব্লিটি ইনডেক্স’ শীর্ষক এক তালিকায় এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে বসবাসযোগ্যতার দিক দিয়ে ১৪০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান এখন ১৩৮তম। গেল বছর ‘গ্লোবাল লিভিব্লিটি ইনডেক্স’ এর তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল ১৩৯তম। সেই হিসাবে এবার এক ধাপ উন্নতি হয়েছে।
স্থায়িত্ব, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি, পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো এই কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় রেখে তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে
তালিকায় এবার ঢাকার চেয়েও খারাপ অবস্থা দেখানো হয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ও নাইজেরিয়ার লাগোস শহরকে। এর মধ্যে বসবাসের অযোগ্য হিসেবে দামেস্ক প্রথম ও লাগোস আছে দ্বিতীয় স্থানে।
এদিকে ‘গ্লোবাল লিভিব্লিটি ইনডেক্স’ এর তালিকায় ঢাকার পরেই রয়েছে লিবিয়ার ত্রিপোলি (৪), পাকিস্তানের করাচি (৫), পাপুয়া নিউ গিনির পোর্ট মোরসবি (৬), জিম্বাবুয়ের হারারে (৭), ক্যামেরুনের দুয়ালা (৮), আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স (৯) ও ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাস (১০)।
বিপরীতে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ও বাসযোগ্য শহরের তালিকায় এবারও শীর্ষ স্থান ধরে রেছেখে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। এর পরেই আছে অস্ট্রেলিয়ার আরও দুটি শহর- মেলবোর্ন (২) ও সিডনি (৩)।
এছাড়া উৎকৃষ্ট শহরগুলোর মধ্যে জাপানের ওসাকা (৪), কানাডার ক্যালগেরি (৫), কানাডার ভ্যাঙ্কুভার (৬), কানাডার টরন্টো (৭), জাপানের টোকিও (৮), ডেনমার্কের কোপেনহেগেন (৯) ও অস্ট্রেলিয়ার এডিলেড (১০) নম্বরে আছে।
তবে অবনতি হয়েছে প্যারিস ও হংকংয়ের। শহর দুটি আছে যথাক্রমে তালিকার ২৮ ও ৩৮তম অবস্থানে। ৪০তম স্থানে আছে সিঙ্গাপুর। ভারতের দিল্লি ও মিশনের কায়রোও পরিচ্ছন্ন শহরের তালিকায় অনেক নিচে অবস্থান করছে।