পারিবারিকভাবে প্রেমের স্বীকৃতি না পেয়ে পাবনায় এক প্রেমিক যুগল আত্মহত্যা করেছে। তারা দু’জনই সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া কালিয়াকৈর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহত যুগলের একজন মাইশা খাতুন মিতু এবং অপরজন সবুজ আলী।
সবুজ ভাঙ্গুড়া উপজেলার চাচকিয়া গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে আর মিতু ফরিদপুর উপজেলায় বাশুরিয়া গ্রামের আব্দুল মতিনের মেয়ে।
ফরিদপুর থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক মিন্টু দাস বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, কালিয়াকৈর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া তিন বন্ধু আশরাফুল, সাকিবুল ও সবুজ তাদের তিন সহপাঠীর সাথে প্রেম করে আসছিলো। ওই তিন প্রেমিকারই বাড়ি ফরিদপুর উপজেলায় বাশুরিয়া গ্রামে।
বুধবার রাত ১২টার দিকে তিন বন্ধু একসাথে তিন প্রেমিকার বাড়িতে প্রবেশ করার বুদ্ধি আঁটে। এদের মধ্যে সবুজ আলী মিতুর ঘরে ঢুকে যেতে সক্ষম হয়। অন্যরা যার যার প্রেমিকার ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পথে পায়চারি করতে থাকে।
এ সময় চোর ভেবে এলাকাবাসী তাদের আটক করে। পরে গ্রামবাসী তাদের দু’জনকে পুলিশেল হাতে সোপর্দ করে।
এদিকে দুই বন্ধুর আটকের খরব পেয়ে রাতেই মিতুর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সবুজ। কিন্তু পরদিন ঘোটা ঘটনা জানাজানি হলে মিতুর পরিবার এ সম্পর্ক মেনে নেবে না বলে জানায়।
আর এরপর ওইদিন রাতেই মিতু গ্যাসের একাধিক ট্যাবলেট একসাথে খেয়ে ফেলে এবং অসুস্থ হয়ে যায়। পরে তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এদিকে মিতুর মৃত্যু সংবাদ জানতে পেরে সবুজও গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে।
ফরিদপুর থানায় আটককৃত সবুজের দুই বন্ধু সাকিব ও আশরাফুল বাংলাদেশ জার্নালকে জানায়, সবুজ-মিতু দু’জনই আগে থেকে গ্যাসের ট্যাবলেট নিয়ে রেখেছিলো। তারা শপথ করেছিলো পরিবার যদি তাদের এ সম্পর্ক মেনে না নেয় তাহলে তারা গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়েই আত্মহত্যা করবে।
ফরিদপুর থানার ওসি আবুল কাশেম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, এ ব্যাপারে ফরিদপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মাসুদ রানা সবুজের মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সবুজ নামে এক স্কুল ছাত্র গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।