Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৩ রবিবার, জুলাই ২০২৫ | ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

২০২৪ সালের মধ্যে ভারতীয় রুপিকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশী টাকা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৪:৩৬ PM
আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৪:৩৬ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


মার্কিন ডলারের (ইউএসডি) বিপরীতে ভারতীয় রুপির দরপতন অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে এক ডলার ৭২ দশমিক ২৮ ভারতীয় রুপিতে গিয়ে ঠেকেছে। একইসঙ্গে ঢাকার বিপরীতে রুপির দর এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের পর সর্বনিম্ন। ১০০ টাকায় বর্তমানে মিলছে ৮৫ রুপি ১৮ পয়সা। অর্থাৎ বাংলাদেশি এক টাকা ১৪ পয়সায় মিলছে ভারতীয় এক রুপি। অর্থ সূচক 

টাকার বিপরীতে রুপির দর আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে ওয়ালেট ইনভেস্টর নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তাদের ধারণা, ২০২৪ সাল নাগাদ রুপি ও টাকার মান সমান হতে পারে। কিংবা টাকার মান বেশি হতে পারে।

ভারতীয় দুর্বল জিডিপি তথ্য এবং মার্কিন ডলারের একটি শক্তিশালী বিস্তৃতি রুপির দরে প্রভাবে ফেলছে বলে মনে করছেন অনেকে। এছাড়া ভারতের দেশীয় শেয়ারবাজার সূচকের তীব্র হ্রাস রুপির দরপতনে প্রভাব ফেলছে। এমনকি সেনসেক্স এবং নেফটিও রুপির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিনের শুরুর দিকে এক ডলারের বিপরীতে ছিল ৭১ দশমিক ৯৭ রুপি। পরে সেটা গিয়ে উঠে ৭২ দশমিক ৩৬ রুপিতে। এর আগের দিন বাজার শেষ হয়েছিল ডলারের বিপরীতে ৭১ দশমিক ৪০ রুপির স্থিতিতে। এদিকে, রুপির দুর্বলতার কারণে ভারতের দেশীয় বাজারে স্বর্ণ ও রৌপ্যের দাম চড়া রয়েছে। এজন্য ভুগছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গত কয়েক মাসে রুপির মান কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশি ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ৮৫ দশমিক ১৮ রুপি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভারতীয় রুপির বিপরীতে বাংলাদেশের টাকা শক্তিশালী হওয়ায় রফতানি বাণিজ্যে দেশটির সঙ্গে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ।

যদিও ভারত থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে মিলছে বাড়তি সুবিধা। তবে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভারতীয় পণ্যের অবাধ আমদানি হলে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি আরও বাড়বে।

ভারত সরকারের মতে, আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ প্রকট হওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে এশিয়ার একাধিক দেশের মুদ্রার ওপর। ওই যুদ্ধের জেরেই ডলারের চাহিদা বেড়েছে প্রবলভাবে। ফলে কমছে ভারতীয় রুপির দর। একইসঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভারতের শিল্পক্ষেত্রের মন্দা বাজারও। 

Bootstrap Image Preview