Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৩ রবিবার, জুলাই ২০২৫ | ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে নতুন কৌশল ইসির

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:০৪ AM
আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:০৪ AM

bdmorning Image Preview


নির্বাচন কমিশন (ইসি) নানা পদক্ষেপ নিলেও রোহিঙ্গাদের এ দেশে ভোটার হওয়া ঠেকাতে পারছে না। কিছুদিন পরপরই জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার থেকে বেরিয়ে আসছে রোহিঙ্গা ভোটার। তাই এবার রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে ইসি। 

জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কক্সবাজারে শরণার্থীশিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের একটি তথ্যভান্ডার (সার্ভার) আছে  এখন যাঁরা নতুন ভোটার হবেন, শুদ্ধতা যাচাইয়ের জন্য তাঁদের তথ্য ওই রোহিঙ্গা-সার্ভারের সঙ্গে মেলানো (ক্রস ম্যাচিং) হবে।

রোহিঙ্গা সার্ভারে (তথ্যভান্ডার) তথ্য ঢোকানোর (ইনপুট) পর কোনো ব্যক্তির দেওয়া তথ্য সঠিক প্রমাণিত হলে তবেই সেই তথ্য জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সার্ভারে ঢোকানো হবে। 

এরপর তিনি বাংলাদেশের ভোটার হিসেবে বিবেচিত হবেন, পাবেন স্মার্ট কার্ড। সম্প্রতি ভোটার তথ্যভান্ডার থেকে কিছু রোহিঙ্গা ব্যক্তির নাম বেরিয়ে আসার পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) নতুন এই কৌশল অবলম্বন করছে।

ইসি সূত্র জানায়, এখন ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলছে। মাঠকর্মীরা প্রথমে ব্যক্তির ছবি, চোখের আইরিশ, আঙুলের ছাপ ও অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে উপজেলা সার্ভারে রাখবে। দ্বিতীয় ধাপে সেই তথ্য ক্রস ম্যাচিংয়ের জন্য পাঠানো হবে রোহিঙ্গা-সার্ভারে। ওই সার্ভারে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিকের তথ্য আছে।

ইসি ২০০৮ সালে প্রকাশ করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। সেখানে ভোটার সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ১০ লাখের বেশি। ২০১১ সালে এসে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর তদন্ত করে জানায়, তালিকায় ৫০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ভোটার আছে। এরপর ইসি যাচাই-বাছাই করে ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিকের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়। ২০১৬ সালে আরেক দফা যাচাই-বাছাই করে সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গার নাম বাদ দেওয়া হয়।

একই সময়ে ইসি চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ৩২টি রোহিঙ্গা প্রবণ উপজেলা চিহ্নিত করে। এসব এলাকায় ভোটারের তথ্য যাচাইয়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। এসব এলাকায় ভোটার হওয়ার জন্য বিশেষ ফরম চালু করা হয়, যেখানে পিতামহের নাম-ঠিকানাসহ অতিরিক্ত কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। 

এত সব ব্যবস্থার পরও সম্প্রতি লাকী নামের এক রোহিঙ্গা নারী এবং নুর মোহাম্মদ নামের আরেক রোহিঙ্গা ডাকাতের তথ্য ভোটার তথ্যভান্ডারে পাওয়া গেছে। দুদিন আগে আরও ৪৬ জন রোহিঙ্গার তথ্য ভোটার তথ্যভান্ডারে পাওয়া গেছে।

ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় রোহিঙ্গারা নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে করে ভোটার হচ্ছেন। এর সঙ্গে স্থানীয় লোকজন ও ইসির মাঠকর্মীরা জড়িত।

Bootstrap Image Preview