Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৩ রবিবার, জুলাই ২০২৫ | ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

শিঘ্রই ভারত-বাংলাদেশের মুদ্রার মান হবে সমান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৩ PM
আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৩ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


বাংলাদেশি এক টাকা ১৪ পয়সায় মিলছে ভারতীয় এক রুপি। আর মাত্র ১৪ পয়সা বাড়লেই দুই দেশের মুদ্রার মান হবে সমান। তবে এতে কিছু সুবিধা থাকলেও, বৈদেশিক বাণিজ্যে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বাংলাদেশে। 

জানা যায়, গত দুই মাস ধরে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মূল্য ক্রমেই কমছে। সেই তুলনায় বাংলাদেশি মুদ্রার অবস্থান ভালো জায়গায় রয়েছে। বর্তমানে এক ডলারের (ইউএসডি) বিপরীতে ভারতীয় রুপির দর দাঁড়িয়েছে ৭২.২৮ পয়সায়। পাশাপাশি টাকার বিপরীতে রুপির দরও কমে যাচ্ছে। বর্তমানে ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ৮৬ রুপি।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ালেট ইনভেস্ট জানিয়েছে, টাকার বিপরীতে রুপির দর আরও কমতে পারে। তাদের ধারণা, ২০২৪ সাল নাগাদ রুপি ও টাকার মান সমান হতে পারে। কিংবা টাকার মান বেশি হতে পারে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, টাকার বিপরীতে রুপির দর কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে যারা বেড়াতে বা চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছেন তাদের সুবিধা হলেও বৈদেশিক বাণিজ্যে ভারতের চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশেরই।

জানা গেছে, ১৯৭১-এ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর টাকা ও রুপির দর প্রায় সমান ছিল। এরপর থেকে পড়তে থাকে বাংলাদেশি টাকার দাম। এ বছর আগস্টের শুরু থেকেই ভারতীয় মুদ্রার অবনতি শুরু হয়েছে। গত দুই মাসে রুপির মান কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভারতীয় রুপির বিপরীতে বাংলাদেশের টাকা শক্তিশালী হওয়ায় রপ্তানি বাণিজ্যে দেশটির সঙ্গে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। যদিও ভারত থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে মিলছে বাড়তি সুবিধা। তবে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভারতীয় পণ্যের অবাধ আমদানি হলে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি আরও বাড়বে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ প্রকট হওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে এশিয়ার একাধিক দেশের মুদ্রার ওপর। এর জেরেই ডলারের চাহিদা বেড়েছে। ফলে কমছে রুপির দর। একইসঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভারতের শিল্পক্ষেত্রের মন্দা বাজারও। এছাড়া ভারতের শেয়ারবাজার সূচকের তীব্র হ্রাসও রুপির দরপতনে প্রভাব ফেলছে।

Bootstrap Image Preview