শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য এবং তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেক চিন্তা-ভাবনা করেন।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।
জাকির হোসেন বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সবার কথা শুনেন, উপলব্ধি করেন। আমাদের যেটুকু সমস্যা আছে তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছি। এর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো বলে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
এছাড়া জাতীয় স্কুল মিলনীতি পাস হওয়ায় এখন এ বিষয়ে কাজ চলছে বলেও জানান জাকির হোসেন। তিনি বলেন, আমরা সারা দেশের শিক্ষার্থীদের দুপুরে লাঞ্চের ব্যবস্থা করবো। পাইলোটিং হিসেবে বেশকিছু জেলায় দুপুরের খাবার দেওয়া হচ্ছে। কোথাও রান্না করা খাবার আবার কোথাও বিস্কুট দেয়া হচ্ছে।
প্রতিদিনের খাবারে বৈচিত্র্য আনতে চাল, ডাল, তেল, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন মৌসুমি তাজা সবজি, ফল এবং সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ডিম দিয়ে খাবার রান্না করা হবে। অভিভাবক ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে পরামর্শ করে খাবারের মেনু ঠিক করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা খাবারে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছি। যেমন— রান্না করা খাবারের পাশাপাশি কলা, রুটি এবং ডিমও দেবো। এতে খাবারের মধ্যে একঘেয়েমি থাকবে না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে স্কুলমিল কার্যক্রম চালু হলে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া অনেকাংশে কমে আসবে।