বগুড়ার শেরপুর উপজেলার স্বরো গ্রামে ধর্ষণের ‘মিথ্যা মামলা’ না করায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ সতীনের বিরুদ্ধে।
আজ বুধবার শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নারী শিরিনা খাতুন।
জানা গেছে, ভবানীপুর ইউনিয়নের স্বরো গ্রামে অপহরণ মামলার আসামি কছিমুদ্দিন ও তার প্রথম স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বাড়িতে আসেন।
তবে কৌশলে অপহরণ মামলা থেকে বাঁচতে একই গ্রামের স্কুলছাত্রী অপহরণ মামলার বাদী সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় স্ত্রী শিরিনাকে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা করতে চাপ দেওয়া হয়।
এতে রাজি না হওয়ায় বুধবার সকাল ৭টায় কছিমুদ্দিন তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী-সন্তান নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে তাকে বেধড়ক মারধর করে। এতে শিরিনা খাতুনসহ তার ৮ বছরের শিশু আশা খাতুন আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় শিরিনা বাদী হয়ে স্বামী ও সতীনসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শেরপুর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শিরিনা খাতুন নামে এক নারী তার স্বামী ও সতীনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।