Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৩ রবিবার, জুলাই ২০২৫ | ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ধর্ষণের অভিযোগে সেই এসআইকে প্রত্যাহার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:০২ PM
আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:০২ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


স্বামীকে ফাঁসিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা থেকে নাম বাদ গেলেও অভিযুক্ত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

আজ বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহ্ উদ্দিন শিকদার।

তিনি বলেন, ‘খায়রুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় তাকে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনসে যুক্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ মামলায় চার আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয় যশোরের শার্শা থানার এসআই খাইরুল ইসলামকে।

গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামি হলেন- কামরুল ইসলাম, ওমর আলী ও আব্দুল লতিফ।  তাদেরকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছিলেন সালাহউদ্দিন শিকদার।

তিনি বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাতে শার্শার চটকাপোতা এলাকার কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল, লক্ষ্মণপুর এলাকার আব্দুল লতিফ এবং আব্দুল কাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাওয়া হবে।’

এসআই খায়রুলকে কেন মামলা থেকে বাদ দেওয়া হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘ভিকটিমের সামনে গত রাতে এসআই খায়রুলকে কয়েক দফা আনা হয়। কিন্তু ভিকটিম খায়রুলকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেননি।’

উল্লেখ্য, ওই নারী গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে ঘটনাটি সামনে আসে।  তিনি জানান, গত সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই খাইরুল ইসলাম ও তার সোর্স কামরুল ইসলাম ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।

ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, গত ২৫ আগস্ট রাতে তার স্বামীকে মাদক ব্যবসার অভিযোগে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান এসআই খায়রুল। পরদিন তার কাছ থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে আদালতে চালান করে দেন।

তিনি জানান, গত সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে এসআই খায়রুল ও তার সোর্স বাড়িতে গিয়ে ওই নারীকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। পরে স্বামীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে এসআই খায়রুল তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। তবে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আবার টাকা দাবি করা নিয়ে খায়রুলের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে খায়রুল ও তার সোর্স তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে জানালে তাকেও মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।

 

Bootstrap Image Preview