Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ সোমবার, জুলাই ২০২৫ | ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

মধ্যরাতে আসামীর স্ত্রী টাকা দিতে না পারায় সোর্স নিয়ে ধর্ষণ করে এসআই

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৭:৩১ PM
আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৭:৩১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


যশোরের শার্শা উপজেলার গোড়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খায়রুলসহ সোর্সের বিরুদ্ধে আসামির স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সুপার ক্ষতিগ্রস্ত মহিলার অভিযোগ আমলে নিয়ে ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠিয়েছে। ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ওই মহিলাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ওই গৃহবধূ যশোর জেনারেল হাসপাতালে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, শার্শার লক্ষণপুর গ্রামের তার স্মামী আসাদুজ্জামান আশাকে গত ২৫ আগস্ট রাতে শার্শা উপজেলার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খায়রুল তুলে নিয়ে আসে। পরদিন ২৬ আগস্ট আশার কাছ থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে তাকে আদালতে চালান দেয়।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত ২টার দিকে এসআই খায়রুল, চটকাপোতা গ্রামের কামারুল, লতিফ ও কাদেরকে নিয়ে আশার বাড়িতে যায় এবং তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। আশাকে মামলা থেকে অব্যবহতির দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এসআই খায়রুল তার স্ত্রীর নিকট ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।

টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে খায়রুল ও কামারুল ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের ভিতরে গিয়ে আশার স্ত্রীকে প্রথমে এসআই খায়রুল ও পরে পুলিশের সোর্স কামারুল ধর্ষণ করে।

এসময় লতিফ ও কাদের ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। বিষয়টি কাউকে জানালে তাকেও মামলা ঝুলিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে আশার স্ত্রী পরিচিত এক যুবককে সাথে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববধায়কের অফিসে যান এবং সাংবাদিকদের কাছে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ধরেন।

যশোর কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে যান এবং হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদের অনুমতি নিয়ে ওই মহিলাকে নিয়ে পুলিশ সুপার মঈনুল হকের অফিসে নিয়ে যান।

এসময় ওসি মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি তিনি শুনে এসেছেন। তাকে নিয়ে এসপি অফিসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর বাইরে কোন কিছু বলা সম্ভব নয়।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহম্মেদ জানান, ভুক্তভোগী মহিলাকে যদি হাসপাতালে পাঠানো হয় তাহলে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।

যশোর পুলিশ সুপার মঈনুল হক সাংবাদিকদের জানান, ক্ষতিগ্রস্থ মহিলার অভিযোগ আমলে নেয়া হয়েছে। তাকে পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ সঠিক হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Bootstrap Image Preview