Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ সোমবার, জুলাই ২০২৫ | ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রতি রাতেই একজন করে ছেলেশিশুকে যৌন নির্যাতন করতেন মাদ্রাসাশিক্ষক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৩:০৪ PM
আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৩:০৪ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


জয়পুরহাটের আরাম নগর এলাকায় আইয়ুব আলী নামে ‘হাফেজিয়া মাদ্রাসা’র এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু ছাত্রদেরকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতি রাতেই এক একজন শিশুকে বিছানায় ডেকে নিয়ে তিনি বলাৎকার করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেছেন এক শিক্ষার্থীর বাবা। তবে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মাদ্রাসা বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন আইয়ুব আলী। তিনি নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলার কামিয়া ডাঙ্গা গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে।

মাদ্রাসার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অভিযোগ, ১৪/১৫ জন শিশু ওই মাদ্রসায় আবাসিক ছাত্র হিসেবে থেকে লেখাপড়া করছিল। এই শিশুদের সবাই জেলা শহরসহ আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের সন্তান।

শিক্ষক আইয়ুব আলী প্রতি রাতে শিক্ষার্থীদের আরবি শেখাতেন। প্রায় প্রতি রাতেই শোয়ার সময় এক একজন শিশুকে তার বিছানায় ডেকে নিয়ে যৌন নির্যাতন করতেন তিনি।

এভাবেই জেলা শহরের মাদারগঞ্জ এলাকার ভ্যানচালকের এক ছেলেকে ভয় দেখিয়ে এক সপ্তাহ ধরে যৌন নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন ওই শিক্ষক। এক পর্যায়ে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় গতকাল রোববার পালিয়ে বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তার মা-বাবাকে জানায়।

এদিন দুপুরেই নির্যাতনের শিকার তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করায় তার মা-বাবা।

জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মুবিনুল ইসলাম জানান, ওই শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার শারীরিক পরীক্ষায় বলাৎকারের আলামত পাওয়া গেছে।

এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষক আইয়ুব আলীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রায়হান হোসেন জানান, অসুস্থ শিশুর বাবার অভিযোগের বিষয়টি দ্রুত আমলে নেওয়া হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

 

Bootstrap Image Preview