Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ সোমবার, জুলাই ২০২৫ | ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

রায়পুরে নির্মাণাধীন অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:৪৭ AM
আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:৪৭ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


লক্ষ্মীপুরের রায়পুর শহরের পীর ফয়েজ উল্যা সড়কের পাশে সরকারি জমিতে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন দোকানঘরের দেয়াল ভেঙ্গে দিয়েছে প্রশাসন।  

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শামিম শান্তি বানু ও ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার আবদুল্লাহ আল মামুন কাজ বন্ধ করে দেয়াল ভেঙ্গে দেন। এসময় দখলদারদের সতর্ক করে দেয়া হয়। 

সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার পীর ফয়েজ উল্যা সড়কের মুখে ডান পাশে সরকারি প্রায় দেড় শতাংশ জমি রয়েছে। সেখানে উপজেলা রিকশা চালক মালিক সমবায় সমিতির নামে পাঁচটি টিনসেট দোকানঘর আছে।

অভিযোগ রয়েছে, কয়েক বছর আগে একটি প্রভাবশালী চক্র দোকানঘরগুলো নিজের নিয়ন্ত্রণে নেয়। এর জের ধরে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে সেখানে দোকানঘরগুলো ভেঙ্গে দখলের চেষ্টা চালায়। এতে দুই গ্রুপের লোকজন মুখোমুখি অবস্থান নেয়। তখন সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিল্পী রানী রায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সম্প্রতি দোকানঘরগুলো করার জন্য ইট-বালুসহ নির্মাণ সামগ্রী এনে স্তুপ করা হয়। গত তিন দিন ধরে শ্রমিকরা রাতারাতি পাঁচটি দোকানঘরের দেয়াল তুলেছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অবৈধ দখলের বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানায়। এ প্রেক্ষিতে রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেন।

পীর ফয়েজ উল্যা সড়কের একাধিক ব্যবসায়ী জানায়, ক্ষমতার দাপটে অবৈধভাবে দোকানগুলো করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদ কবির বাক্কি বিল্লাহ ও জেলা পরিষদের সদস্য শাখাওয়াত হোসেন আরিফ দোকানগুলো ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

জানতে চাইলে জেলা পরিষদের সদস্য শাখাওয়াত হোসেন আরিফ বলেন, আমাদের (আরিফ ও বাক্কি বিল্লাহ) মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির কারণে আগে ইউএনও কাজ বন্ধ করেছিল। এখন দুইজনে সমঝোতা করেই ঘরগুলোর সংস্কার কাজ ধরেছি। এটা তো খাস জমি না।

এ ব্যাপারে উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, অবৈধভাবে সরকারি খাস জমিতে দোকানের নির্মাণাধীন দেওয়াল ভেঙ্গে দেয়া হয়। রেকর্ডপত্রেও এটি সরকারি খাসজমি। এসময় দখলকারীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইউএনওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি খাস জমি দখলকারীদের কোন ছাড় নেই।

Bootstrap Image Preview