Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ বৃহস্পতিবার, জুলাই ২০২৫ | ১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদের কাছে ছিল বাংলাদেশী ‘স্মার্টকার্ড’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৭:৫২ PM
আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৭:৫২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


টেকনাফে আলোচিত রোহিঙ্গা ‘ডাকাত’ ও যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি নূর মোহাম্মদ (৩৪) ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ (১ সেপ্টেম্বর) ভোরে এই ঘটনা ঘটে বলে জানানো হয়।

পুলিশের দাবি, নিহত নূর মোহাম্মদ দুর্ধর্ষ ডাকাত, রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠনের স্বঘোষিত নেতা ও ইয়াবা গডফাদার।

নূর একাধিক মামলার পলাতক আসামি ও যুবলীগ নেতা ওমর হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন বলেও জানায় পুলিশ।

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের ভাষ্য, আজ ভোর পৌনে ৬টার দিকে টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে বিশেষ পুলিশের দল গ্রেপ্তার নূর মোহাম্মদকে নিয়ে উপজেলার হ্নীলা জাদিমোরা ২৭ নং ক্যাম্পের পাহাড়ি জনপদের বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যায়।

সেসময় রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠন ও মাদক চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের সদস্যরা এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করে নূর মোহাম্মদকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বলেও জানান তিনি।

ওসির দাবি, এ ঘটানয় নূর মোহাম্মদের বাহিনীর গুলিতে থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) সহ তিনজন আহত হন। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা গভীর বনের দিকে পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নূর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি আরো জানান, ঘটনাস্থল তল্লাশি করে চারটি এলজি, একটি থ্রি কোয়াটার, ১৮ রাউন্ড গুলি, ২০ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা গেছে, কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারী চট্রগ্রামের সিটি কর্পোরেশনের ঠিকানায় বাংলাদেশী স্মার্টকার্ড তৈরী করেছেন। কার্ডে নাম দিয়েছেন নুর আলম। পিতার নাম কালা মিয়া এবং মাতার নাম সরু বেগম। জন্ম তারিখ ২৫ নভেম্বর ১৯৮৩ ইংরেজী। এনআইডি নম্বর-৬০০৪৫৮৯৯৬৩। তার স্থায়ী ঠিকানা হচ্ছে পশ্চিম ষোলশহর পার্ট-২, হিলভিউ রোড, ৪২১১ পাচঁলাইশ, চট্রগ্রাম।

১৯৯২ সালে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা নূর মোহাম্মদ হ্নীলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জাদিমুরা এলাকায় প্রথমে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। ধীরে ধীরে সেখানেই জমি কিনে বাড়ির মালিক হন। প্রতিটি ক্যাম্পে স্ত্রী থাকায় তার আধিপাত্য বিস্তারে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।

রোহিঙ্গা নূর মোহাম্মদের মালিকানায় বাংলাদেশে ৪টি বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে একটি পাকা ভবন, একটি দু’তলা, একটি টিনের ঘর এবং অপরটি বাগান বাড়ি। রয়েছে একাধিক স্ত্রী।

Bootstrap Image Preview