পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নমিতা রানীর বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেনীর স্কুলছাএী তাইবা মনি ঐশী (১০) কে বিদ্যালয়ে পানি পান করার ঘটনায় চুলের মুঠি ধরে ওয়ালের সাথে মাথায় আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে।
আহত স্কুলছাএীকে শুক্রবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কম প্লেস্কে ভর্তি করা হলে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বরিশাল শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ৩ নং দক্ষিণ তুষখালী বান্দাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত ঐশী মঠবাড়িয়া পৌর শহরের আরামবাগ এলাকার আবুল হোসেন ও ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা রওশনারা বেগমের মেয়ে।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার তুষখালী ইউনিয়নের ৩ নং দক্ষিণ তুষখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাএী ঐশী মঙ্গলবার বিকেলে ক্লাস থেকে পানি পান করার জন্য লাইব্রেরিতে যান।
এ ঘটনায় ক্লাস টিচার সহকারী শিক্ষিকা নমিতা রানী তাকে চুলের মুঠি ধরে ওয়ালের সাথে ধাক্কা দেয়। এতে ঐশী মাথায় আঘাত পেয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন।প্রথমে তাকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানো হলেও তার অবস্থার অবস্হার উন্নতি না হওয়ায় শুক্রবার মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।
অতঃপর কর্তব্যরত চিকিৎসক ঐশীকে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে রেফার করে। ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ঐশীর মা রওশনারা বেগম জানান, ঐশীর একটি কিডনি নষ্ট হওয়ায় দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ক্লাস করেন। ঘটনার দিন পানির পিপাসা লাগায় লাইব্রেরীতে পানি পান করতে যান।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকা নিয়মনীতি উপেক্ষা করে তাকে চুলের মুঠি ধরে ওয়ালের সাথে মাথায় আঘাত করে। এ বিষয়ে ওই শিক্ষিকাকে অভিযুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা অফিসারের বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ও ক্লাস্টার অফিসার ইউনুচ আলী হাওলাদর জানান, অভিযুক্ত নমিতাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ঐশীকে আঘাত করার সত্যতা স্বীকার করেন।উক্ত শিকিকার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ও অনেক মৌখিক অভিযান পাওয়া গেছে।
বর্তমান সরকারের শিক্ষা নীতি অনুযায়ী সহকারী শিক্ষিকা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে। তাকে শোকচ করে পরবর্তীতে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্ত শিক্ষিকা নমিতা রানীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঐশীকে আঘাত করার বিযয়ে স্বীকার করে বলেন, ঐশীর মা রওশনারা বেগমের সাথে পূর্ব শত্রুতা রয়েছে।