Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ শুক্রবার, জুলাই ২০২৫ | ২ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভেজালকারীদের পক্ষে থাকেন প্রভাবশালীরা: ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০১৯, ১০:১১ PM
আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০১৯, ১০:১১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। যোগদানের পর থেকেই খাদ্য, ওষুধ থেকে শুরু করে নিত্যপণ্যের গুণগত মান ও ভেজাল এবং মেয়াদ, হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, অতিরিক্ত ফি নেয়াসহ নানান অপরাধের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছেন তিনি। বলা যায়, ভেজাল খাদ্যপণ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন এ ম্যাজিস্ট্রেট।

প্রতিদিনই ঢাকার কোনো না কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা কিংবা খাবারের দোকানে অভিযান চালাচ্ছেন তিনি। একই সঙ্গে কিশোরদের মাদকসেবন থেকে শুরু করে রাজধানীতে ঘটা নানান অপরাধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধেও সমানতালে অভিযান চালাচ্ছেন সারোয়ার আলম।

প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় এসব অভিযানের ছবিসহ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও সচেতনতামূলক পোস্ট দেন তিনি।

বুধবার দুপুর ২টা ২৩ মিনিটে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। তবে এবার তার এই স্ট্যাটাসটিতে আক্ষেপের পাশাপাশি হতাশা লক্ষ্য করা গেছে।

তিনি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘যে দেশের তথাকথিত প্রভাবশালীদের অনেকেই থাকেন ভেজালকারীদের পক্ষে সে দেশে খাদ্য ও ওষুধ ভেজালমুক্ত করা বড়ই কঠিন। ’

এর আগের দিন মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে দুঃখ আর আক্ষেপ প্রকাশ করে একটি স্ট্যাটাস দেন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার। স্ট্যাটাসটিতে তিনি লিখেছেন, ‘এটি ভাবতেই কষ্ট হয় যে ২০১২ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ জলাতংক রোগ এবং বার্ড ফ্লু রোগ প্রতিরোধকারী ভ্যাকসিন বিক্রি করছে ২০১৯ সাল পর্যন্ত । তাও করেছে দেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান। এক দুই ভায়েল নয়, লক্ষাধিক ভায়েল। কাকে ভরসা করবে সাধারণ মানুষ। কত খামারি এবং ভুক্তভোগী যে সর্বস্বান্ত হয়েছে তার হয়তো কোনো হিসেব নেই।’

ওই স্ট্যাটাসে তিনি জানান, আট বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ গবাদি পশুর বিভিন্ন ভ্যাকসিন, এন্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ধরণের ওষুধ রিপ্যাক করে বিক্রয় করায় রাজধানীর ফকিরাপুলে এডভান্স এনিম্যাল সায়েন্স কোং লিমিটেড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ছয় জনকে ২ বছর করে কারাদণ্ড ও ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করছে র‌্যাব-২, প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহযোগিতায় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া ১০ কোটি টাকা মূল্যের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও জব্দ করা হয়। পরে একটি নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়া হয়।

এভাবেই প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে আসছেন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার।

Bootstrap Image Preview