তার নাম সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা। সে ওই জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহায়ক পদে চাকরি করে। বর্তমানে দেশের সবচেয়ে ‘ভাইরাল ইস্যু’ জামালপুরের সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের ছড়িয়ে পড়া আপত্তিকর ভিডিওর নারী সঙ্গী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাধনার ছবি সম্বলিত একটি ভিজিটিং কার্ড ছড়িয়ে পড়েছে। কার্ডের উপরের অংশে তার নামের নিচে লেখা সভানেত্রী, আদর্শ মহিলা উন্নয়ন সমিতি। এর নিচে তার মোবাইল নম্বর, যেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এছাড়া কার্ডের নিচের অংশে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের নাম সানজিদা ইয়াসমিন হস্তশিল্প, হস্তশিল্পের পণ্য সামগ্রী পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতা। ঠিকানা লেখা, বগাবাইদ বোর্ডঘর, জামালপুর।
ফেসবুকে ভিজিটিং কার্ডের ছবি পোস্ট করে অনেকেই বিরূপ মন্তব্য করছেন। সাধারণ মানুষের ভাষ্য- আদর্শ মহিলা উন্নয়ন সমিতির সভানেত্রী হয়ে সাধনা নিজের কি আদর্শ প্রকাশ করলেন দেশবাসীর সামনে?
এদিকে জামালপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পিয়ন সাধনাকে ‘ছায়া ডিসি’ আখ্যা দিয়ে বলছেন নানা ঐদ্ধত্য আর খবরদারির ঘটনা।
চলতি বছর জানুয়ারিতে ডিসি অফিসে ২৭ জনকে অফিস সহায়কসহ ৫৫ পদে নিয়োগ করা হয়। তখন সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা নিজে এবং তার দুই আত্মীয় রজব আলী ও সাবান আলীকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দেন ডিসি।
সাধনা যোগদানের পরপরই জেলা প্রশাসকের অফিস রুমের পাশে খাস কামরাটিতে মিনি বেড রুমে রূপান্তর করতে খাট ও অন্যান্য আসবাবপত্রসহ সাজ্জসজ্জা করেন। সেই রুমেই চলতো তাদের রঙ্গলীলা।
সূত্র জানায়, ডিসির প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন দফতরে বদলি, নিয়োগ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাণিজ্য করে সাধনা হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর প্রয়োজনের ক্ষেত্রে অনেকেই কাজ হাসিলের জন্য সাধনাকে ম্যানেজ করতেন। এ কারণে সবার মাঝেই ‘ছায়া ডিসি’ আখ্যা পায় পিয়ন সাধনা। এছাড়া সাধনার কাছে একাধিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা লাঞ্ছিত হয়েছেন বলেও জানায় সূত্রগুলো।