Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ শুক্রবার, জুলাই ২০২৫ | ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০১৯, ১২:৪৬ PM
আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০১৯, ১২:৪৬ PM

bdmorning Image Preview


ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস লিখে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে এক স্কুলছাত্রী। তার নাম মারিয়া আফরোজ সুইটি (১৪)।

সুইটি উপজেলার পুরুড়া গ্রামের তেতুলিয়াপাড়ার কুয়েত প্রবাসী মোতাহার হোসেন সবুজের মেয়ে। সে উপজেলার ভরাডোবা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

শনিবার সকালে নিহতের বাড়ির পাশে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার উপজেলায় ভরাডোবা বাসস্ট্যান্ডে বিষপান করে অচেতন হয়ে পড়ে সুইটি। পরে রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

ফেসবুকে সুইটির স্ট্যাটাস- ‘আমাকে বোঝার ট্রাই তোমরা কোনো দিন করো নাই... যেই দিন আমি তোমাদের ছেড়ে চলে যাব অচিনপুর, তখন তোমরা আমাকে বুঝবা আমি কি ছিলাম তোমাদের জন্য। তখন চাইলেও কেউ আমাকে ফিরে পাবে না, বাই।’

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সুইটির সঙ্গে দেড় বছর ধরে একই গ্রামের তাজুল ইসলাম তাজেলের কলেজ পড়ূয়া ছেলে কবির আহমেদের প্রেম ছিল। কিন্তু সুইটির বাবা-মা মেয়ের এ সম্পর্ক কোনোভাবেই মেনে নেননি। ছেলে পক্ষ বিয়ের জন্য মেয়ের বাড়িতে লোক পাঠালে ছেলে গরিব হওয়ায় বিয়ে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

এ নিয়ে গত এক বছরে দুই পরিবারের মধ্যে বেশ কয়েক দফা আলোচনাও হয়। কিন্তু মেয়েপক্ষ ঘটনাটি কোনোভাবেই মেনে না নেয়ায় গত বুধবার সুইটি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটান লেখে।

এর পর গত বৃহস্পতিবার সকালে সুইটি স্কুলে আসে এবং দুপুরের বিরতির সময় ভালুকা সদরে গিয়ে ইঁদুর মারার বিষ কিনে খেয়ে বাসে চড়ে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে বাস থেকে ভরাডোবা বাসস্ট্যান্ড নামার পর তিনি অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যান।

এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার রাতেই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

নিহত সুইটির চাচা আজিজুল হক সুজন জানান, এক বছর আগে একই গ্রামের কবিরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সুইটির। কিন্তু অনেক দিন হলো ওই সম্পর্ক ভেঙে গেছে।

উপজেলার ধলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজছাত্র কবির আহমেদ বলেন, আমরা গরিব বলে আমার সঙ্গে সুইটির পরিবার বিয়ে দেবে না বলে জানায়। তাই সুইটির সঙ্গে অনেক দিন ধরে আমার যোগাযোগ নেই।

ভরাডোবা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুর হক জানান, ঘটনাটি আমরা পরে শুনেছি। বাড়ির পাশে এক ছেলের সঙ্গে না কি মেয়েটির প্রেম ছিল। তার পরিবারের লোকজন তাদের প্রেম মেনে না নেয়ায় সে আত্মহত্যা করেছে।

ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, স্কুলছাত্রীর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Bootstrap Image Preview