Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ শুক্রবার, জুলাই ২০২৫ | ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বঙ্গবন্ধু হত্যার হুকুমদাতা‌দেরও বিচার হ‌বে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০১৯, ০৭:০৭ PM
আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০১৯, ০৭:০৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। এখন হত্যার হুকুমদাতাদেরও বিচার হবে। 

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যারা গুলি করে হত্যা করেছে, আমরা তাদের বিচার করেছি। কিন্তু যারা হুকুম দিয়ে হত্যা করিয়েছে তাদের বিচার হয় নাই।’ উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরে মাঝে মাঝে সোনা চোরাচালান ধরা পড়ে।

সেখানে কারা ধরা পড়ে? দুবাই থেকে ঢাকায় যাদের নামে সোনা পাঠানো হয়, তারা কি কোনোদিন ধরা পড়ছে? ধরা পড়ে নাই। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার হুকুম দিয়েছে তাদের বিচার হয়নি।

জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনি উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পাকিস্তানি দূতাবাস ও আমেরিকান দূতাবাস সারারাত খোলা ছিল।

জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনি। খুনি না হলে আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিদেশে পাঠিয়ে বড় বড় পদে পদায়ন করতেন না। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের যাতে বিচার না হয়, এর জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচারের রাস্তা বন্ধ করেছিলেন। খুনি বলেই জিয়ার মন্ত্রিসভায় শাহ আজিজসহ যারা একাত্তরে পাকিস্তানের পক্ষে ছিল, তাদেরকে নিয়েই মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু যে সংবিধান দিয়ে গিয়েছিলেন, সেই সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটি বাদ দিয়ে আবারও সেই পাকিস্তানি কায়দায় ধর্মীয় রাজনীতি চালু করেন। পাকিস্তানি পাসপোর্টধারী গোলাম আযমকে বাংলাদেশে এনে নাগরিকত্ব দেযন। জামায়াত ইসলামের অনুমতি দেন। এতে পরিষ্কার বোঝা যায়, তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।

বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রশ্ন থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। যেসব স্থানে আমরা হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি, সেসব স্থানে স্মৃতিফলক তৈরি করা হবে।

যেসব জায়গায় বদ্ধভূমি আছে, সেসব জায়গায় অন্য নকশায় স্মৃতিফলক হবে। ঢাকা শহর থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যেকটি সড়কের নামকরণ করা হবে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে। এছাড়া, আর্থিকভাবে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর তৈরি করার জন্য প্রত্যেকের নামে ১৫ লাখ টাকা করে সরকারিভাবে অনুমোদন দেওয়া হবে। এরইমধ্যে তা মন্ত্রণালয় থেকে পাস হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘এবছর ১৬ ডিসেম্বরের আগে মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং তাদের আইডি কার্ড দেওয়া হবে। আইডি কার্ডে লেখা থাকবে মুক্তিযোদ্ধারা কী কী সুবিধা পাবেন।

মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সভাপতি গাজী মো.দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল উদ্দিন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিএম কামরুল ইসলাম,মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।

Bootstrap Image Preview