Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শনিবার, জুলাই ২০২৫ | ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে সড়ক অবরোধ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০১৯, ০৬:৩৭ PM
আপডেট: ২১ আগস্ট ২০১৯, ০৬:৩৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


পাবনার ঈশ্বরদীর আলহাজ টেক্সটাইল মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হককে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করার দাবিতে ক্লাস বর্জন, বিক্ষোভ মিছিল ও টায়ারে আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ করে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে শিক্ষার্থীরা ঈশ্বরদী-কুষ্টিয়া সড়কে অবস্থান নিলে প্রায় দেড় ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে ক্লাস, পরীক্ষাসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেয়।

তবে অবস্থানের পর ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকীর আশ্বাসে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করে তারা।

ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ মে দুপুরে স্কুল মাঠে ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী তার কয়েকজন বান্ধবীর সঙ্গে খেলা করছিল।

ওই সময় প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক তাকে রুমে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল ও আপত্তিকর কথাবার্তা বলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে। পরে তার বান্ধবীরা এগিয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক তাকে ছেড়ে দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে।

পরে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় যৌন হয়রানির মামলা করে। মামলার পর গত ১৭ জুন বিকেল ৪টার দিকে ঢাকার শাহাবাগ এলাকা থেকে ওই শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করে।

অন্যদিকে ১৬ জুন স্কুলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ ও শৃঙ্খলা নষ্ট হওয়ায় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী কামরুন নাহার শরীফ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে মোজাম্মেল হককে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

এরপর মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে বিতর্কিত ওই প্রধান শিক্ষক জামিনে মুক্তি পেয়ে বিদ্যালয়ে এলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এতে করে স্কুল প্রাঙ্গণে উত্তেজনা দেখা দেয়। আজ আবারও তারা আন্দোলনে নামে।

সাময়িক বহিষ্কারের পর স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, এর আগেও এ বিদ্যালয়ে ছাত্রী যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে। ওই শিক্ষককে অপসারণ না করা পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

Bootstrap Image Preview