ডেঙ্গু রোগের পরামর্শের জন্য হটলাইন চালু করেছে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ডেঙ্গু পরামর্শ কেন্দ্র ও হটলাইনের উদ্বোধন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এসময় রিজভী বলেন, আজকে ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ড্যাব হটলাইন চালু করেছে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কেউ ডেঙ্গু বিষয়ে পরামর্শ জানতে চাইলে সহজেই সহযোগিতা পাবেন। ০১৩০৬৮৫৯৬৬৪ নাম্বারে কল করলে যে কেউ ডেঙ্গু বিষয়ে পরামর্শ জানতে পারবেন। বিএনপির অন্য অঙ্গ সংগঠনগুলোও পাড়ায় মহল্লায় ডেঙ্গু সচেতনতায় লিফলেট বিতরণ করছে।
প্রধানন্ত্রীর সমালোচন করে রিজভী বলেন, বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে গুম খুন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অবলীলায় মিথ্যাচার করেছেন। আসলে সরকার মানুষের সামনে বক্তব্যের ধোয়া উড়াচ্ছে।
মানুষের সাথে রং তামাশা করছে। অন্যদিকে বিএনপি সবসময় জনকল্যাণে কাজ করে। আজো ডেঙ্গু নিয়ে বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা সচেতন করতে কাজ করছে। লিফলেট বিতরণ করছে।
রিজভী বলেন, দেশে একটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি বিরাজমান। ডেঙ্গু রোগ মহামারির রূপ নিয়েছে। কিন্তু সরকার কোনো গুরুত্ব দেয়নি। ভোটারবিহীন সরকার ডেঙ্গু সম্পর্কে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সংস্থা ও সুশীল সমাজের সতর্ক বার্তাকে ভ্রুক্ষেপ করেনি। বরং মশকরা আর উপহাস করেছে।
যিনি প্রধান দায়িত্বে ছিলেন সেই মন্ত্রী দেশের বাইরে গেছেন। শুনেছি প্রধানমন্ত্রীও অসুস্থ, তিনিও দেশের বাইরে। কিন্তু এখন কুরবানীর ঈদ উপলক্ষে লাখ লাখ লোক গ্রামে যাবেন। কিন্তু ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। যেখানে ঢাকাতেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসক, শিক্ষার্থীসহ অনেকেই প্রতিদিন মারা যাচ্ছে।
তাহলে গ্রামগঞ্জের কী অবস্থা হবে? ৬৪ জেলায় এখন ডেঙ্গু। এটা আরো তীব্রতর হলে কি পরিমাণ মড়ক শুরু হবে? তার ইয়ত্তা নেই। অথচ সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সরকারের প্রস্তুতি কী। কী করছে তারা?
তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমে হুমকি পাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বিবিসিকে সাক্ষাতকারে বলেছেন, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের কথা নাকি গণমাধ্যম বেশি বেশি প্রচার করছে! আসলে কী তাই? দেশের সাংবাদিক ঢাকা থেকে গুম হয়ে উদ্ধার হয় সুনামগঞ্জে। তারপরও নাকি গণমাধ্যম বেশি বেশি প্রচার করা হচ্ছে বলে সাক্ষাতকার দিয়ে অবলীলায় মিথ্যা বলছেন।
তাহলে আমাদের ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, সাইফুল ইসলাম হিরু, হুমায়ুন পারভেজ, জাকির, সুমন সহ অন্যরা কই? প্রধানমন্ত্রী জবাব দিন। বিবিসির মতো গণমাধ্যমে আপনি অবলীলায় মিথ্যা বলে গেলেন। নাকি যতটুকু প্রচার করা দরকার ততটুকু তারা প্রচার করতে পারছে না। গণমাধ্যমের ওপর ভয়ঙ্কর বিধিনিষেধের তরবারি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এরমধ্যেও মিডিয়া ডেঙ্গু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আসলে যে দেশে মিডিয়ার স্বাধীনতা অনুপস্থিত, গণতন্ত্র নেই, বাকস্বাধীনতা নেই সেখানে তো মড়ক লাগবে, মহামারী লাগবে, দুর্ভিক্ষ লাগে এটাই স্বাভাবিক।
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি মো. আবদুস সেলিম, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. আব্দুল সালাম, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।