রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় জামাইয়ের দায়ের কোপে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির স্ত্রীও গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ জাহেদুল ইসলাম (৩৫) নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার (৬ আগস্ট) মিঠাপুকুরের শঠিবাড়ী বৈরাতী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত শাশুড়ির নাম সিদ্দিকা বেগম (৫০)। তিনি পীরগঞ্জ উপজেলার বারাইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, মিঠাপুকুরের বড় হযরতপুর ইউনিয়নের নানকর ফতেপুর গ্রামের জাহেদুল ইসলাম পেশায় একজন দিনমজুর। তার স্ত্রী আরজিনা বেগমকে নিয়ে উপজেলার শঠিবাড়ী বৈরাতী মোড় এলাকায় ভাড়া বাসা থাকতেন তিনি। তবে স্ত্রীর পরকীয়া করছিল বলে জাহেদুল ধারণা করতেন। বিষয়টি নিয়ে তাদের মাঝে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।
এরই জের ধরে গতকাল সকালে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে জাহেদুল ইসলাম তার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকেন। এ সময় শাশুড়ি সিদ্দিকা বেগম মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও এলোপাথাড়ি কোপান জাহেদুল।
মা ও মেয়ের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বিকেলে শাশুড়ি সিদ্দিকা বেগম মারা যান। এদিকে স্ত্রী আরজিনা বেগমও গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর আলী বিশ্বাস বলেন, ‘ঘাতক জামাইকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।