মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, হাইকোর্টের একটি নিষেজ্ঞা থাকায় আমরা রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রকাশ করতে পারিনি। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্য আমরা এদের তালিকা প্রকাশ করতে পারবো। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানে রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে মুজিবনগর পর্যটন মোটেলে আয়োজিত মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কেন্দ্র প্রকল্পের স্থাপত্য নকশা অনুমোদন-সংক্রান্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মুজিবনগর হচ্ছে স্বাধীনতার শপথ ভূমি। সূর্যোদয় ভূমি। মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ না নিলে দেশ স্বাধীন নিয়ে বড় ধরনের সমস্যা হতো।
মুক্তিযুদ্ধের সেই স্মৃতি দেশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে মুজিবনগরকে আমরা আন্তর্জাতিক মানের মুক্তিযুদ্ধ তীর্থস্থান হিসেবে গড়ে তুলবো। ইতোমধ্য ৩৭ একর জমি অধিগ্রহণ করেছি। আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম আরিফ-উর রহমান।
এতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ছাড়াও মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আতাউল গনি, পুলিশ সুপার এস এম মোরাদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মুজিবনগর সৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন মন্ত্রী।