Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২১ সোমবার, জুলাই ২০২৫ | ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর ফাঁসির আদেশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০১৯, ০৫:৪১ PM
আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯, ০৫:৪১ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী বিজন মণ্ডলকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৯ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। 

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিজন মণ্ডল (৪৭) আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙা গ্রামের মনোহর মণ্ডলের ছেলে। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে আশাশুনি উপজেলার ফকরাবাদ গ্রামের অনিল কৃষ্ণ মণ্ডলের মেয়ে কঙ্কাবতী মণ্ডলের (৪০) সঙ্গে একই উপজেলার গোয়ালডাঙা গ্রামের মনোহর মণ্ডলের ছেলে বিজন মণ্ডলের বিয়ে হয়।

বিয়ের কয়েক বছর পর প্রতিবেশী দীপক মণ্ডলের স্ত্রী সন্ধ্যা রানী মণ্ডলের সঙ্গে বিজনের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় কঙ্কাবতীর সঙ্গে বিজনের প্রায়ই ঝগড়া লাগতো।

এরই জের ধরে ২০১৭ সালের ১০ জুন রাত ১১টার দিকে বিজন তার স্ত্রীর মুখে ও নাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে জ্ঞান হারিয়ে যাওয়া কঙ্কাবতীর গলায় নাইলনের দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বিজন মণ্ডল।

মামলায় আরও বলা হয়, এরপর কঙ্কাবতীর মরদেহ বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে বাথরুমের সামনে আম গাছে ঝুলিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছে বলে সবাইকে জানায় বিজন ও তার পরিবারের সদস্যরা।

২০১৭ সালের ১০ জুন দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে লোকমুখে খবর পেয়ে ১১ জুন সকালে বিজনের বাড়িতে যেয়ে কঙ্কাবতীর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায় বাবা অনিল কৃষ্ণ মণ্ডল ও তার স্বজনরা। পরে বিজন তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করলে তাকে পুলিশে দেয় গ্রামবাসী।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা অনিল কৃষ্ণ মণ্ডল বাদী হয়ে ওই বছরের ১১ জুন রাতে জামাতা বিজন কুমার মণ্ডলসহ অজ্ঞাতনামা তিন জনের বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

১২ জুন বিজন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. জাহিদ হোসেনের আদালতে পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ার কারণে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. তপন কুমার দাস বলেন, আদালত আসামিকে স্ত্রী হত্যার দায়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এসময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান পিন্টু ও অ্যাডভোকেট এসএম হায়দার আলীসহ কয়েকজন।

 

Bootstrap Image Preview